নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান নিয়ে গত ১৮ নভেম্বর জিএম কাদের ও রওশন এরশাদ পৃথক পৃথকভাবে চিঠি দেন নির্বাচন কমিশনে। সেদিনই নির্বাচনকেন্দ্রিক দলটির এ দুই শীর্ষ নেতার বিরোধ সামনে আসে। যেটি এখন পর্যন্ত মিমাংসা হয়নি। এমনকি জিএম কাদেরের স্বাক্ষরে দলের প্রার্থী হতে রওশনপন্থি নেতাদের প্রায় কেউই মনোনয়ন ফরমই সংগ্রহ করেননি। ফরম নেননি রওশন এরশাদ নিজেও।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাগো নিউজকে এসব কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১ হাজার ৭৫২ জন জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করেছেন। ২০ নভেম্বর ৫৫৭টি, ২১ নভেম্বর ৬২২টি, ২২ নভেম্বর ৩৩১টি, ২৩ নভেম্বর ২২৭টি এবং আজ ২৪ নভেম্বর ১৫টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত রওশনপন্থি কেউ মনোনয়ন নেয়নি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সময় শেষ হলেও রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদ যেকোনো সময় দলের মনোনয়ন ফরম নিতে পারবেন।
১৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে দেওয়া চিঠিতে রওশন এরশাদ জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশ হয়ে নির্বাচন করবে। এটা হবে শুধু নির্বাচনী জোট। জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন।
একই দিন সিইসিকে লেখা আরেকটি চিঠিতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু জানান, সংসদ সদস্য পদে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, এমপি।
এরপর নির্ধারিত দিনে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করে জাতীয় পার্টি। সময় দেওয়া হয় মোট চারদিন। প্রথম চারদিনে রওশন এরশাদসহ তার অনুসারীরা মনোনয়ন ফরম না নেওয়ায় সময় আরও একদিন বাড়ানো হয়। তবে কাজ হয়নি এতে।
দলের এ বিভক্তি নিয়ে শুক্রবার বিকেলে দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো পন্থি নেই। জাতীয় পার্টিতে পন্থা একটাই। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আমরা সবাই এরশাদপন্থি। জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠায় বেগম রওশন এরশাদের অনেক অবদান ও ত্যাগ আছে। তিনি নির্বাচন করলে আমরা তাকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করবো। বেগম রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদ এখনো মনোনয়ন ফরম নেননি।
তিনি আরও বলেন, বেগম রওশন এরশাদের জন্য কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই, তিনি যখন বলবেন তখনই মনোনয়ন ফরম দেওয়া হবে। বেগম রওশন এরশাদ চাইলে মনোনয়ন ফরম তার বাসায় পৌঁছে দেবো। তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র।