ডিএমপির প্রত্যেক সদস্যকে শতভাগ ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ৮:০৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২৩

এসএম দেলোয়ার হোসেন:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাষ্ট্র আমাদেরকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে। পেশাদারিত্ব ও কাক্সিক্ষত সেবা দিয়ে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে। পুলিশী সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে আরো বেগবান করতে হবে। তাই ডিএমপির প্রত্যেক সদস্যকেই শতভাগ ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে। আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জনগণকে কাঙ্খিত সেবা দিতে থানায় আগত সেবা প্রার্থীদের দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদান করতে হবে। মানুষ পুলিশের সেবা পেতে প্রথমে থানায় আসে। আমরা থানাকে মানুষের সেবা প্রাপ্তির প্রথম ভরসাস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জনসেবায় কতটা আন্তরিক তা দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত নগরবাসীকে বুঝাতে হবে।


হাবিবুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র আমাদেরকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে। পেশাদারিত্ব ও কাক্সিক্ষত সেবা দিয়ে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে। পুলিশী সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে আরো বেগবান করতে হবে।
তিনি বলেন, ডিএমপির প্রত্যেক সদস্যকে শতভাগ ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে। জনসাধারণের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করতে হবে। মহানগরবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের দিন-রাত পরিশ্রম করে দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনেক সময় ধৈর্যচ্যুতি হতে পারে, তারপরও ধৈর্য ধরে জনগণের সেবা দিয়ে যেতে হবে। কেউ অপরাধ করলে তার ব্যক্তিগত দায় ডিএমপি নেবে না। আমরা কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করবো না। পেশাদারিত্বের সাথে ভালো ব্যবহার করে অন্যের খারাপ ব্যবহারের জবাব দেবো।
ডিএমপি প্রধান বলেন, যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নে ইতোমধ্যে ট্রাফিক বিভাগের অফিসারদের সাথে কথা বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিকের সিনিয়র অফিসারদের রাস্তায় থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পরিস্থিতি যেমনই হোক সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সার্বক্ষণিক কাজ করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, চুরি মামলা, ছিনতাই মামলা, মামলা তদন্ত, চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার ও মূলতবি মামলা নিস্পত্তির ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়াও মাদক আসক্ত ব্যক্তি ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।


উপস্থিত অফিসারদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা সবাই মিলে একে অপরকে সহযোগিতা করে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবো। এ ব্যাপারে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। যেকোন প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে থাকবো।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।