ডাকাতি-ছিনতাইয়ের অভিযোগে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার ২৪

প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৩

সাইফুল ইসলাম:
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার চাঁদ উদ্যান ও শেরেবাংলা নগর থানার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১২ জন এবং পৃথক অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে আরও ১২ জনসহ কিশোর গ্যাংয়ের মোট ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। চাঁদ উদ্যান এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতাররা হলেন- কালু শাহ্ (৫১), রাসেল (২৪), জানু (৩৫), হাসান (৩২), রনি (২৭), সুমন মাতুব্বর (২০), নাদিম (২৮), জনি (২৮), রুবেল (২৯), হোসেন (৩২), শাওন (২৪) ও আলী (২৩)। এছাড়া পৃথক অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের গ্রেফতাররা হলেন- আরমান সিকদার (২৩), রবিউল ইসলাম ওরফে হাসান (২২), ইব্রাহীম ওরফে ইবু (২১), শুভ আহমেদ ওরফে রাজু সরদার (৩২), সাইফুল ইসলাম (২১), জনি (৩৬), রুবেল (২৩), বাবু (৩৩), ফয়সাল (২৪), হাবিবুর রহমান (২৭), হাসনাইন ওরফে হাসান (২০) ও রাশিদুল (১৯)। আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) নিউজ পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব।


তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধে মারাত্মকভাবে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও এর আশপাশ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাইসহ শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যক্রম ঘটাচ্ছে।


সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম বলেন, এছাড়া বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা রুজু হয়। সাধারণ মানুষ কিশোর গ্যাংয়ের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে এতে এলাকার পথচারী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজধানীবাসী বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকালে ডাকাত ও ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নারী, পুরুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ নির্বিশেষে সবাইকে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হয়। এরই পরিপেক্ষিতে র‌্যাব-২ এ চক্রের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। পরে র‌্যাব-২ এর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও ধানমন্ডি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২৪ জনকে গ্রেফতার করে।


তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা র‌্যাবকে জানিয়েছে- তারা একাধিক সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে ফুটপাতের দোকান ও পথচারীদের তাদের কাছে সঙ্গে থাকা দেশীয় অস্ত্র, ছুরি, চাকু, খুর দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা-পয়সা, গহনা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ডাকাতি ও ছিনতাই করে বলে স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তাদের নামে ডাকাতি ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। পৃথক এসব ঘটনায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া এসব অপরাধ দমনে অপরাধীদের ধরতে চলমান এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব।