নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের নির্দেশ ইসির
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
মোঃ সাইফুল ইসলাম:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কোনো কিছুর কমতি রাখছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেফতারে নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জারি করা পরিপত্র-৯ এ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
ইসি জানায়, সব শ্রেণির ভোটার যাতে তাদের ভোটাধিকার অবাধ ও নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারেন তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজন কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে একটি এবং প্রয়োজনবোধে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখপূর্বক সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্তপূর্বক প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ইসি আরও জানায়, নির্বাচনী এলাকার সব স্তরের ভোটার এবং বিশেষ করে নারী ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যকলাপ সম্পর্কে যেন সব শ্রেণির ভোটার আগে থেকে নিশ্চিত হতে পারেন তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।
এছাড়া ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সব বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার পরিচালনা জোরদার করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রণয়নপূর্বক চাঁদাবাজ, মাস্তান ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনসহ চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে বেশি সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং এই নিরপেক্ষতা যেন জনগণের কাছে দৃশ্যমান হয় তা নিশ্চিত করতে জেলা পর্যায়ে ও মেট্রোপলিটন এলাকার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশনে টিম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেল গঠন ও নির্বাচন মনিটরিং টিম করার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে আরও জানানো হয়, অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা যাতে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা মেনে চলেন এবং কোনো তিক্ত, উসকানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য দিয়ে থাকেন কিংবা অর্থ, পেশিশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত না করতে পারেন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মহলের সহযোগিতা কামনা করতে হবে। প্রয়োজনবোধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।