ক্রিড়া ডেস্ক:
অগ্রহায়ণের শেষেও শীত নামেনি নগরে। তবে শীতের বার্তা নিয়ে এসেছে মেঘ ঢাকা আকাশ আর ছিটে ফোঁটা বৃষ্টি। ঢাকা টেস্টে গুমট দিনের মতো মুখ কালো করে সাজঘরে ফিরেছেন দুই দলের ১৫ ব্যাটার। উল্লাস করেছেন কেবল স্পিনাররা। টাইগার স্পিনার মেহেদী মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম সফরকারী নিউজিল্যান্ডকে এমন ঘূর্ণিজালে ফেলেছেন যে, চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনটাও চালকের আসনে থেকে শেষ করেছে বাংলাদেশ।
সিলেট টেস্টে জয়ের পর মিরপুর স্টেডিয়ামে সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে টস করতে যান অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। টসও পক্ষে আসে। কিন্তু ফ্রেশ উইকেটের সুবিধা নিতে পারেনি স্বাগতিক ব্যাটাররা। ওপেনার জয়-জাকিরের পর তিনে নামা শান্ত ও চারে নামা মুমিনুল ব্যর্থ হন। মুশফিক-দিপুর দৃঢ়তার পরও বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৭২ রান তুলে অলআউট হয়।
জবাব দিতে নামা নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ১২.৪ ওভার ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান তুলেছে। মেঘলা আকাশের কারণে সকালেই আলো স্বল্পতার কারণে ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে শুরু হয়েছিল ম্যাচ। সন্ধ্যার আগে অন্ধকার নেমে আসায় নির্ধারিত সময়ের আগে প্রথম দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেছেন মাঠে থাকা দুই আম্পায়ার।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তিনি অদ্ভূত এক আউটে সাজঘরে ফিরে যান। ৪১তম ওভারে কিউই পেসর কাইল জেমিনসনের বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে দারুণভাবে সামলান। তবে উইকেট থেকে দূরে থাকা নির্লিপ্ত বল হাত দিয়ে ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট হন।
পরেই আউট হন দলকে ভরসা দেওয়া তরুণ ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দিপু। তিনি ৩১ রান করেন। এছাড়া মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। ব্ল্যাক ক্যাপসের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে (১১) ও টম লাথাম (৪) শুরুতে ফিরে যান। এরপর হেনরি নিকোলস (৪), কেন উইলিয়ামসন (১৩) ও টম ব্লান্ডেল (০) একে একে সাজঘরে হাঁটা দেন।
বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন নিউজিল্যান্ডের তিন স্পিনার। ডানহাতি অফ স্পিনার গ্লেন ফিলিপস ১২ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। বাঁ-হাতি স্পিনার মিশেল স্যান্টনার ৬৫ রানে ৩টি ও এজাজ প্যাটেল নিয়েছেন ৫৪ রান দিয়ে ২ উইকেট। বাংলাদেশের মিরাজ ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। তাইজুল ৫.৪ ওভারে ২৯ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।