বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস নাকি ভারতের ওড়িশা এফসি?
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতের মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট আর মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের জন্য এবারের এএফসি (এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন) কাপ শেষ না হয়েও শেষ। এখন এই দুই দলের লড়াই শুধু আনুষ্ঠানিকতার। অথচ ডি-গ্রুপে একইদিনের অন্য ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে বারুদের গন্ধ। দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ক্লাব হয়ে কারা উঠবে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে? বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস নাকি ভারতের ওড়িশা এফসি? এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজ (সোমবার) রাতে। ভারতের ভুবনেশ্বরের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে রাত ৮ টায় দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হওয়ার লড়াইয়ে নামছে দুই দেশের দুই ক্লাব। ঘরের মাঠে খেলবে ওড়িশা-এটা বড় সুবিধা ভারতীয় ক্লাবটির। পয়েন্ট বেশি বসুন্ধরা কিংসের, যে কারণে সমীকরণে এগিয়ে বাংলাদেশের ক্লাবটি। সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস। পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলপ্রেমীদের চোখ থাকবে ভুবনেশ্বরের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে। হিসেব পরিস্কার। এ ম্যাচে একটি পয়েন্ট পেলেই প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের গ্রুপপর্ব টপকে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে উঠবে বসুন্ধরা কিংস। অক্টোবরে এ মাঠেই জয়ের সমান এক ড্র করেছিল অস্কার ব্রুজনের দল। ভারতের জায়ান্ট মোহনবাগানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছিল কঠিন ম্যাচে। পরে হোমম্যাচে মোহনবাগানকে হারিয়েই ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে সুবিধাজনক স্থানে বসুন্ধরা কিংস। ওড়িশার পয়েন্ট ৯। এ লড়াই কেবল বসুন্ধরা কিংসের নয়, বাংলাদেশের ফুটবলেরও। রবিবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজন সে কথাই বলেছেন ‘এ ম্যাচ জিতলে শুধু কিংসই না, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ফুটবলও। আমরা এখান থেকে কিছু অর্জন করে ফিরতে চাই। খেলোয়াড়রাও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখানে আমরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যে আছি। এসব সমস্যা জয় করেই ভালো কিছু নিয়ে ফেরার আশা করছি।’ এএফসি কাপে এর আগে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে খেলেছিল আবাহনী, ২০১৯ সালে। তবে সামনে আর এগুতে পারেনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সফল ক্লাবটি। উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে হোম ম্যাচে ৪-৩ গোলে জিতলেও ২-০ গোলে হেরে যায় অ্যাওয়ে ম্যাচে। দুই ম্যাচ মিলে ৬-৩ গোলে জিতে পরের রাউন্ডে উঠেছিল উত্তর কোরিয়ার ক্লাবটি। আবাহনী বিদায় নিয়েছিল ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল থেকেই।