ক্রীড়া ডেস্ক :
যুব এশিয়া কাপের গত ৯ আসরে আটবার চ্যাম্পিয়ন ভারত। এর মধ্যে কেবল ২০১৭ সালে ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। ওইবার গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল দলটি। দশম আসরে এসে আরেকবার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো তারা। তাদের নবম শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে দিলো বাংলাদেশ।
শুক্রবার সেমিফাইনালে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বার এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে হারের শোধ তুললো মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। আগামী ১৭ ডিসেম্বর দুবাইয়ে হবে ফাইনাল। পাকিস্তানকে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ১১ রানে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে সংযুক্ত আরব আমিরাত। স্বাগতিকদের সঙ্গে হবে বাংলাদেশের ট্রফির লড়াই।
আগে বোলিং নিয়ে ভারতকে ১৮৮ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। লক্ষ্যে নেমে দ্রুত তিন উইকেট হারালেও আরিফুল ইসলামের বীরোচিত ব্যাটিংয়ে জিতে যায় তারা। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আরিফুল ও আহরার আমিন এই আসরের সর্বোচ্চ ১৩৮ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে নিরাপদ জায়গায় নেন।
লক্ষ্য থেকে ১৭ রান দূরে থাকতে আরিফুল ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৯০ বলে ৯ চার ও ৪ ছয়ে ৯৪ রান করেন তিনি। আরও দুই উইকেটের বিনিময়ে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় লক্ষ্যে। শিহাব ৯ রানে থামেন। আহরার লক্ষ্য থেকে ২ রান দূরে থাকতে আউট হন, তিনিও ৬ রানের আক্ষেপে পোড়েন। তার ব্যাটে আসে ৪৪ রান। শেখ পারভেজ জীবন সিঙ্গেল নিয়ে সমতা ফেরান। তারপর জয়সূচক রান নিতে বাংলাদেশ খেলেছে ৮ বল। ৪৩তম ওভারের পঞ্চম বলে ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিয়ে দলকে জেতান জীবন। ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন রাব্বি।
৪২.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৯ রান করে বাংলাদেশ। ভারতকে কম রানে আটকে দিতে অবদান রাখা মারুফ মৃধা হয়েছেন ম্যাচসেরা। প্রথম তিনটিসহ মোট চার উইকেট নেন তিনি ৪১ রান দিয়ে।
ভারত ১৩ রানে ৩ উইকেট হারায়, সবগুলোই নেন মারুফ। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছে তাদের। ৬১ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর মুশির খান ও মুরুগান অভিষেক ৮৪ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন। এই জুটি ভেঙে গেলে দ্রুত গুটিয়ে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন অভিষেক। মুশির করেন ৫০ রান। ৪২.৪ ওভারে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।