নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক:

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে রবিবার শেষ ম্যাচটা জিতলেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ। গত কয়েক ম্যাচে বাংলাদেশ দল যেমন ক্রিকেট খেলছে, তাতে সেটা কঠিন হওয়ার কথা নয়। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাওহীদ হৃদয় তেমনটাই জানিয়েছেন।

নিজেদের ছন্দ ধরে রেখে সিরিজ জিততে পুরো বাংলাদেশ উদগ্রীব হয়ে আছে। সংবাদ সম্মেলনে তাওহীদ হৃদয় বলেছেন, ‘চিন্তা ভাবনা আগের ম্যাচগুলোতে যেমন ছিল, এখনো একই আছে। এটা ভালো সুযোগ নিজেদের যে সম্ভাবনা আছে সেটা কাজে লাগানোর। আশা করি যে ফ্লোতে আছি, সেটা চালিয়ে যাবো।’

চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে দারুণ সময় কাটছে বাংলাদেশের। এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচ খেলে এসেছে ১০ জয়, হার দুটি। আরেকটির ফল হয়নি। বছরের শেষ ম্যাচেও নিজেদের ভালো সুযোগ দেখছেন হৃদয়। তার কথা, ‘এখন পর্যন্ত অনেক ভালো। দল যখন ফল করে সব ভালো থাকে। সবাই সবাইকে সমর্থন করে। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে যারা আছি সবাই মনে করে আমরা পারবো। গত কিছু দিন এই ফরম্যাটে ভালো করছি, আশা করছি এবারও ভালো করবো। আমরা বিশ্বাস করি এটা আমাদের শুরু। সামনে আরও ভালো করব। আরও দাপটের সঙ্গে খেলবো।’

আগামী বছরের মাঝামাঝি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে এই ফরম্যাটের সবগুলো ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমাদের সবগুলো ম্যাচই এখন গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বেশি সময় নেই। আর আমাদের হাতে অনেক ম্যাচ আছে, সেটাও না। সামনে হয়ত বিপিএল আছে, এরপর দু’একটা সিরিজ আছে। তো আমাদের প্রত্যেকটা প্লেয়ারের জন্য অনেক বড় সুযোগ। আমরা চেষ্টা করবো সুযোগ কাজে লাগানোর। সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, আমার মনে হয় সবাই এটা জানে। সেভাবে সবাই কাজ করছে।’

পেশির চোটে দ্বিতীয় ম্যাচে দলে ছিলেন না লিটন দাস। শেষ ম্যাচেও তার দলে থাকার সম্ভবনা নেই। এই অবস্থায় ব্যাটিং লাইনে শক্তি কিছুটা কমে গেছে। তাওহীদ অবশ্য সেসব ভাবছেন না। তার মতে, ‘যেহেতু দাদা (লিটন) ভালো একটা ছন্দে ছিলেন…এখন ইনজুরি তো কারো হাতে নেই। তার আপডেট কী সেটাও আমি জানি না। এটা ফিজিও বা কোচরা ভালো বলতে পারবেন। যদি তিনি আমাদের দলে নাও থাকেন, আমাদের যা আছে সেটা নিয়ে আমাদের খেলতে হবে। আর টি-টোয়েন্টি খেলা, ২-৩ জনের খেলা। যদি আমাদের ২-৩ জন ব্যাটার ভালো শুরু করে দেয় তাহলে আমরা ইনশাআল্লাহ সেটা ভালো খেলবো।’

তাওহীদ আরও বলেছেন, ‘প্রথমত, যে বড় ভাইরা ছিলেন, তারা দেশের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে তাদের মধ্যেও কয়েকজন এখানে থাকতেন, খেলতেন। এটা এমন এক জায়গা, যেখানে সবাই সব সময় থাকবে না। হয়তো বা আমরাও আছি, আমরাও এক সময় থাকবো না। দায়িত্ব যখন যে খেলোয়াড় দেশের জন্য খেলতে নামে, সবাই চায় তার সেরাটা দিতে। খেলোয়াড়েরা যখন মাঠে নামে, তখন জেতার জন্যই নামে। কে আছে, কে-নেই আমরা এত কিছু দেখি না।’

দলে সিনিয়র ক্রিকেটাররা নেই। তারপরও দল ছন্দে আছে। নিউজল্যিান্ডে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জিতেছে। তাওহীদ কৃতিত্ব দিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে,‘অবশ্যই। তাদের দুজনের (চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও নাজমুল হোসেন শান্ত) ভূমিকা তো অনেক বড়ই। যেহেতু তারা সবসময়ই দল নিয়ে আলোচনা করে, পরিকল্পনা করে যে, কখন কোন জিনিসটা করা দরকার দলের ভালোর জন্য। আশা করি, এই পরিকল্পনা সামনে আরও ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো। আমরা যে প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, প্রক্রিয়াটা ভালোমতো বজায় রাখবো আশা করি।’