লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
শীতের দিন মানেই গুড় দিয়ে তৈরির নানা পদের আয়োজন। পিঠা, পায়েস, সন্দেশ থাকে এই তালিকায়। গুড় স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেই খাওয়া হয়। তবে কোনোকিছুই বেশি খাওয়া ভালো নয়। গুড়ও এর ব্যতিক্রম নয়। গুড় খাওয়ার সঠিক পরিমাপ জানা না থাকলে বিপদে পড়তে পারেন আপনিও। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত গুড় খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত গুড় খাওয়া অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রতি একশো গ্রাম গুড়ে ফ্রুক্টোজ থাকে প্রায় ১০-১৫ গ্রাম। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের খুব বেশি গুড় মোটেও ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, গুড় খাওয়া উচিত পরিমিত। আর এটি শীতের সময়েই খাওয়া ভালো।গুড়ে থাকে উচ্চ পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। এটি অতিরিক্ত খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞের কথায়, গ্রীষ্মকালে পরিবেশ উষ্ণ থাকে। তখন অতিরিক্ত গুড় খেলে তা হতে পারে বদহজমের কারণ। গরমের সময় অতিরিক্ত গুড় খেলে তার ফলে নাক দিয়ে রক্তও পড়তে পারে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, গুড়ের মধ্যে থাকা সুক্রোজ আমাদের শরীরে প্রদাহ বাড়াতে পারে। এতে থাকা উপস্থিত চিনির উপাদান শরীরে ফুলে যেতে পারে। এর ফলে যাদের আর্থ্রাইটিসের মতো প্রদাহজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই গুড় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নয়তো ব্যথা বাড়তে পারে।
বেশি গুড় খেলে বাড়তে পারে ওজনও। কারণ প্রতি একশো গ্রাম গুড়ে থাকে প্রায় ৩৮৩ ক্যালোরি। সেখান থেকেই জন্ম নিতে পারে স্থূলতাজনিত সমস্যা। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে গুড় খেতে হবে রয়েসয়ে। একসঙ্গে অনেকটা গুড় বা গুড়ের তৈরি খাবার খেয়ে ফেলবেন না।
সব খাবারই খেতে হয় পরিমিত পরিমাণে। গুড়ও তেমন। আপনি যদি অল্প করে গুড় খেতে পারেন তবে তা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে। সেইসঙ্গে ঠিক রাখবে আপনার বিপাকক্রিয়া। কিন্তু যখন একসঙ্গে অনেকখানি গুড় বা গুড়ের তৈরি খাবার খেয়ে ফেলবেন তখন দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা।