তথ্যপ্রযুক্তি ডেক্স :
বর্তমানে সারাবিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। যার মাধ্যমে টেক্সট মেসেজের পাশাপাশি অডিও ও ভিডিও কল করা যায়। তবে অ্যাপটিতে কল রেকর্ড করার কোনো অপশন নেই। তবে আপনি চাইলে সহজেই যে কারো ভয়েস কল রেকর্ড করতে পারবেন। বর্তমানে সারাবিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। যার মাধ্যমে টেক্সট মেসেজের পাশাপাশি অডিও ও ভিডিও কল করা যায়। তবে অ্যাপটিতে কল রেকর্ড করার কোনো অপশন নেই। তবে আপনি চাইলে সহজেই যে কারো ভয়েস কল রেকর্ড করতে পারবেন। মূলত হোয়াটসঅ্যাপে এমন কোনো অফিসিয়াল ফিচার নেই, যার মাধ্যমে কল রেকর্ড করা যায়। তবে সহজ কিছু উপায় রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি যে কারও ভয়েস কল রেকর্ড করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি কল রেকর্ডিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কিউব এসিআর (Cube ACR) আরো অনেক কল রেকর্ডার অ্যাপ রয়েছে সেখান থেকে আপনার পছন্দ মতো একটি অ্যাপ ইনস্টল করে নিতে পারেন। অ্যাপটি ইনস্টল হয়ে গেলে, হোয়াটসঅ্যাপে যান এবং যে কাউকে ভয়েস কল করুন। আপনি হোয়াটসঅ্যাপ কল শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই কিউব এসিআর নিজে থেকেই তার কাজ শুরু করবে এবং আপনার কলের রেকর্ডিং ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে সেভ হবে।
আপনি যদি দেখতে চান আপনার রেকর্ড করা কলগুলো কোথায় আছে এবং আপনি সেগুলো যদি আবার শুনতে চান, তাহলে আপনাকে ফাইল ম্যানেজারে যেতে হবে। আপনি যদি এখানে রেকর্ডিং খুঁজে না পান, তবে আপনি কিউব এসিআর অ্যাপে গিয়ে রেকর্ডিং দেখতে পারেন। শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই নয়, আপনি চাইলে এই অ্যাপ আইফোনেও ব্যবহার করতে পারবেন। দ্রুত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। সারাবিশ্বেই দিন দিন বাড়ছে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা। তবে মেটার মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ বিদায়ী বছরের নভেম্বরে শুধু ভারতেই ৭১ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। নতুন প্রযুক্তি আইন ২০২১ অনুযায়ী এসব ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন কোন হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টগুলো নিষিদ্ধ করেছেআসলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা আর্থিক প্রতারণার তথ্য গত বছর বারবার উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। কখনও এই মেসেজিং অ্যাপে অপরিচিত নম্বর থেকে ভয়েস কল করে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়েছে তো কখনও লিংক পাঠিয়ে ম্যালওয়্যার ভরে দেওয়া হয়েছে ডিভাইসে। এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে বদ্ধপরিকর মেটার মালিকানাধীন অ্যাপটি। এমনকি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই মতোই এর আগেও বহু অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে সমস্ত নম্বর থেকে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছে, সেসব অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।সোমবার প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলা হয়, গত বছরের নভেম্বর মাসেই রেকর্ড পরিমাণ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এমন কী কোনো ইউজারের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার আগেই সাড়ে ১৯ লাখ বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে মাসে ৮ লাখ ৮৪১ ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে এবং প্রতারণার হাত থেকে তাদের রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারের সংখ্যা ৫০০ মিলিয়ন অতিক্রম করেছে। তাই এই অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণার জালও বিস্তৃত হচ্ছে। যার ফলে প্রতি মাসে দফায় দফায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ আপডেটে আসছে বিশেষ ফিচার। ধারণা করা হচ্ছে সাইডবার রি-ডিজাইন করা হবে এবং সঙ্গে আসবে ডার্কার কালার স্কিম। মূলত ব্যবহারকারীদের চোখের উপর চাপ কমাতেই এই ডার্কার স্কিম ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি অ্যাপের ডিজাইনে আনা হবে দৃষ্টি নন্দন পরিবর্তন।তবে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ কোনো ভাবেই এই পরিষেবায় তার গ্রাহকদের জন্য ‘ডার্ক মোড’ আনছে না, কারণ এটি ইতোমধ্যেই রয়েছে ওয়েব বা অ্যাপে। তার পরিবর্তে এই আপডেটে একটি নতুন কালার স্কিম নিয়ে আসতে চলেছে। জানা গেছে, এই ডার্ক কালার স্কিম নিয়েই আপাতত পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে মেটা। এই ফিচারটি এখনই ব্যবহারকারীদের জন্য চালু করে দেওয়া হয়নি। এমন কি বিটা টেস্টারদের জন্যও নয়। আপাতত এই আপডেট নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, খুব দ্রুতই এই ফিচার বিটা টেস্টারদের জন্য আপডেট করা হবে।সংস্থার দাবি, এই ফিচার আপডেট হলে ওয়েব সংস্করণটির ব্যবহার আরো দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে। সব থেকে বড় বিষয় হলো, ‘কম আলোর পরিবেশে বিশেষ সহায়ক হতে পারে; #111b20 থেকে #12181c-তে রূপান্তর একটি সূক্ষ্ম অথচ প্রভাবশালী পরিবর্তন আনবে, যা ইন্টারফেসটিকে আরো মনোরম করে তুলবে এবং চোখের উপর চাপ কমিয়ে দেবে।
পাশাপাশি মেটার মালিকানাধীন সংস্থাটির দাবি, ‘আমাদের মতে, ডার্ক থিমের জন্য নতুন কালার স্কিম শুধুমাত্র ভিজ্যুয়াল আবেদনই বাড়াবে তা নয়, বরং নতুন ডিজাইনের জন্য ব্যবহারকারীদের ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষাও পূরণ করবে। আমরা বিশ্বাস করি যে এই সংযোজন সেই সব ব্যবহারকারীর পছন্দ পূরণ করবে যারা একটি ইন্টারফেসে নতুন ডিজাইন চাইছেন।’
হোয়াটসঅ্যাপ সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের জন্য কিছু পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, তারই সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এগুলো। যেমন নিচের বার এবং ডার্ক মোডে নতুন কালার স্কিম ইত্যাদি। তবে সকল শ্রেণির গ্রাহক কবে এই ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।যত সময় যাচ্ছে, ততই জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে মেসেজিং প্লাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের। বন্ধু, অফিসের বস বা পরিবারের সদস্যদের সাথে দৈনন্দিন যোগাযোগের জন্য নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকেই। জনপ্রিয়তা পাওয়ায় মেসেজিং অ্যাপটি কাজে লাগিয়ে আর্থিক প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে। হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিন শেয়ার প্রতারণা নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন বর্তমানে প্রায় সব ডিজিটাল প্রতারণার একটা কমন ফ্যাক্টর রয়েছে। সেটা হল ওটিপির মাধ্যমে প্রতারণা। বিভিন্ন উপায়ে প্রতারকরা এমনই কিছু কাণ্ড ঘটিয়ে বসে, যার ফলে সাধারণ মানুষ অজান্তে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাদের সঙ্গে ওটিপি বা ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড শেয়ার করে বসে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিন শেয়ার স্ক্যামে ভুক্তভোগীকে আসলে স্ক্রিন শেয়ার ছাড়া আর কিছুই করতে হচ্ছে না।
আর সেই স্ক্রিন শেয়ার করার অনুরোধ আসে সাইবার অপরাধীদের কাছ থেকেই। না, মুখোশ পরে প্রতারক আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিন শেয়ার করতে বলবে না। হতে পারে তা আপনারই পরিচিত কারো বেশ ধরে, অথবা অন্য কোনও উপায়ে। আপনি ঠিক যখনই স্ক্রিন শেয়ার করার অপশনটি সক্রিয় করবেন, প্রতারকরা সঙ্গে-সঙ্গে আপনার স্মার্টফোনেরঅ্যাক্সেস নিয়ে নেবে। সেখান থেকেই প্রতারক আপনার ফোনে আসা ওটিপিগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনার জরুরি তথ্য, এমনকি টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিতে পারে।
ভয়ঙ্কর পরিণতি
সম্প্রতি স্ক্রিন শেয়ার প্রতারণার কারণে মানুষজন তাদের অর্থ হারাচ্ছে শুধু তাই নয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যাচ্ছে যে, কিছু মানুষের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো লক পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ না কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে পারছে, আর যেটায় ঢুকে আছে, সেটা থেকে বেরোতে পারছে না। কারণ, স্ক্রিন শেয়ার প্রতারণার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দিতে পারে।
প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়
১.হোয়াটসঅ্যাপে অজ্ঞাত নম্বর থেকে আসা ভয়েস বা ভিডিও কল কখনও রিসিভ করবেন না।
২. কখনও হোয়াটসঅ্যাপে কারো সঙ্গে ওটিপি, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের নম্বর বা সিভিভি শেয়ার করবেন না।
৩. কখনও আপনার কোনো পাসওয়ার্ড হোয়াটসঅ্যাপে কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
৪. নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কারো স্ক্রিন শেয়ার অনুরোধে সাড়া দেবেন না।মেটার মালিকানাধীন জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফরম হোয়াটসঅ্যাপ চালু করলেই অন্য ব্যবহারকারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের অনলাইন স্ট্যাটাস জানতে পারেন। এতে অনেকেরই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হয়। তবে আপনি চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপ অনলাইন স্ট্যাটাস লুকিয়ে রাখতে পারবেন। এতে আপনার অনলাইন স্ট্যাটাস লুকিয়ে রাখলে, কেউ আপনাকে অনলাইনে দেখতে পাবে না।অর্থাৎ আপনি অনলাইন থেকে অন্যকারও সাথে কথা বললেও কেউ জানতে পারবে না। ফলে আপনার যার সাথে মন চায়, তার সাথেই গোপনে কথা বলতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, অথচ এতে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন ফিচার সম্পর্কে এখনও জানেন না? শুনলে অবাক হবেন, হোয়াটসঅ্যাপ আপনার গোপনীয়তা বজায় রাখতে অনেক ধরনের নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করেছে।
অনলাইন স্ট্যাটাস লুকানোর জন্য, আপনাকে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে যেতে হবে, এরপর প্রাইভেসি অপশনে যেতে হবে। এখানে আপনি লাস্ট সিন এবং অনলাইনের অপশন দেখতে পাবেন। এটিতে ক্লিক করুনসবার আগে আপনাকে আপনার শেষ দেখা স্ট্যাটাস নোবডিতে রাখতে হবে। এরপর অনলাইন স্ট্যাটাসও নিজে থেকেই নোবডি হয়ে যাবে। আপনি অনলাইনের জন্য একই সেটিংস বেছে নিতে পারবেন। যেভাবে আপনি লাস্ট সিনের জন্য বেছে নিয়েছেন।
এই সেটিংটি চালু করার পরে, কেউ আপনাকে অনলাইনে দেখতে পাবে না। আপনি যখন এই সেটিংটি চালু রাখবেন, তখন আপনি অন্যদের অনলাইন স্ট্যাটাসও দেখতে পারবেন না। ফলে অন্য কেউ অনলাইন আছে কি না, তা জানতে পারবে না। একইভাবে, আপনার প্রোফাইল ফটো, সম্পর্কে, স্ট্যাটাসের সেটিংস পরিবর্তন করলে আপনি যাকে যাকে কোনো স্ট্যাটাস দেখাতে চান না, তা লুকোতে পারবেন। আর নিজের মতো করে অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।