নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কা: প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রকাশিত: ৮:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৪

# নাশকতার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: আইজিপি
# নাশকতাকারীর তথ্য দিলে লাখ টাকা পুরস্কার
# র‌্যাট-ডগ স্কোয়াড-হেলিকপ্টার প্রস্তুত: বিজিবি ডিজি

এসএম দেলোয়ার হোসেন:
আর মাত্র বাকি একদিন। রাত পোহালেই দেশব্যাপী শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট উৎসব। এবারের নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি ভোটের আগের দিন থেকে টানা ৪৮ ঘন্টা হরতাল ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। এরই মধ্যে রাজশাহী, নাটোর, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী কেন্দ্র ও প্রার্থীদের ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে অনেক স্থানে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। ভোট ঠেকাতে মরিয়া বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর চলমান কর্মসূচিতে সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী দেশজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা। পুলিশ প্রধান বলেছেন, ভোটগ্রহণের দিন কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাশকতাকারীর তথ্য দিলে লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ইসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।


নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২ লাখ ১৫ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে ৪ লাখ ৭২ হাজার সদস্য। এবারের নির্বাচনে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন। এবার ৩০০ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৭ নিরাপত্তা সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হবে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসির তফসিল ঘোষণার আগ থেকেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ও সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। চলমান আন্দোলনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী ৩০০ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সামগ্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির পাশাপাশি ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে দেশজুড়ে ভোটের আগের দিন থেকে ৪৮ ঘন্টা হরতালের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। ইতোমধ্যেই অনেক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনের মাঠে মূলত লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। ইসির নির্দেশনায় নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সহিংসতা থেমে নেই।

নির্বাচনীয় প্রচারণার শেষ মুহূর্তে আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ভোরে নাটোরের বনপাড়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হারোয়া এলাকায় নাটোর-৪ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম।

এদিকে আজ ভোরে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের অফিস কক্ষে আগুন দিয়েছে দুবর্ত্তরা।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পরে সোনাগাজী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান এবং সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুদ্বীপ রায় পলাশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা বলেন, ভোটের দিন সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তবে আগুন লাগার কারণ হিসেবে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিরোধকে মাথায় রেখে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজশাহীর বাঘা, বাগমারা ও মোহনপুর উপজেলার ৪টি ভোটকেন্দ্রে হামলা-ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে দুটি কেন্দ্রের আসবাবপত্র পুড়ে ক্ষতিসাধন হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- বাঘা উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহনপুরের মতিহার উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাগমারার আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এসব বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম নিউজ পোস্টকে বলেন, একটি কেন্দ্রের সামনে থেকে ২টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কোন স্কুলে কীভাবে আগুন লেগেছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে ভোট বর্জন ও হরতালের সমর্থনে বরিশাল শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর বিএনপি। মিছিলটি বগুড়া রোড হয়ে খামারবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে বিএনপির ২ কর্মীকে এবং গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে নগরীর বৈদ্যপাড়া এলাকায় বিএনপির ঝটিকা মিছিল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, আটক ৫ জনের বিরুদ্ধে জানমালের ক্ষতি ও পুলিশের ওপর আক্রমণসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা ছিল। ওইসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে আজ শুক্রবার  সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা শহরে ভোট বর্জন ও হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিলটি নগরীর মহিলা কলেজের সামনে পৌঁছালে সড়কে প্রতিবন্ধকতা ঠেকাতে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তখন রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ৩ পুলিশসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।

 

জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কামরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজ পোস্টকে বলেন, নাশকতার উদ্দেশ্য বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। পুলিশ বাধা দিলে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া পশ্চিমপাড়া চন্ডির ভিটা এলাকার মৃত এলেম মাতুব্বরের ছেলে আওয়াল মাতুব্বরের বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই বাড়ির প্রবাসী দুই ভাই দেশে ফিরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলেন। এতে প্রতিপক্ষরা আগুন দেয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের হোসেনপুর ও কালিয়ারচরে পৃথকভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩ সাংবাদিকসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। এর আগে মুন্সিগঞ্জের ৩ আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় গুলিতে এক প্রার্থীর সমর্থক ও গোপালগঞ্জে এক প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।


পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর নিউজ পোস্টকে বলেন, ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র, প্রার্থী, ভোটার, প্রিসাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারসহ প্রত্যেককে নিরাপত্তা দিতে এরই মধ্যে নির্বাচনী ছক তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠে মোতায়েন করা হয়েছে সাড়ে ৭ লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।


এদিকে আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে জাতীয় নির্বাচনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আইজিপি বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য আমাদের জানানো হচ্ছে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আইজিপি বলেন, সম্প্রতি মাগুরায় ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা ঘটানোর বেশকিছু তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে। সহিংসতা-নাশকতা করার জন্য তাদের বেশকিছু পরিকল্পনার বিষয় আমরা জানতে পেরেছি। সেই আলোকে আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায় থেকে নাশকতাকারীদের বিষয়ে প্রতিনিয়ত আমরা তাদের ইনফরমেশন পাচ্ছি। আশা করি, তারা যত পরিকল্পনাই করুক, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।

এর আগে নির্বাচন ঘিরে দেশের কোথাও নাশকতাকারীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণাসহ তথ্যদাতার নাম-পরিচয় গোপন রাখার কথা জানান পুলিশ প্রধান।


এদিকে আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীতে নির্বাচনী বেইজ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে মিরপুরে জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেন, নির্বাচন ঘিরে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশে ১ হাজার ১৫৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। ৪৮৭টি বেইজ ক্যাম্প থেকে দায়িত্ব পালন করছে। বিজিবির ৭০০ পেট্রোল দিন-রাত টহল দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বিজিবির র‌্যাপিড অ্যাকশন টিম (র‌্যাট), ডগ স্কোয়াড কাজ করছে। এছাড়া আমাদের কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত আছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই টিমের সদস্যদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো সন্দ্বীপে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক নিউজ পোস্টকে বলেন, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে আমাদের বাহিনীর ৫ লাখ ১৭ হাজার ১৪৩ জন সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের ৪২ হাজার ১৪৯টি ভোট কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা রক্ষায় ৫ লাখ ৫ হাজার ৭৮৮ জন সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।


আইএসপিআর জানায়, গত ৩ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে। দুর্গম পাহাড়ে হেলিকপ্টার, উপকূলীয় অঞ্চল ঘিরে সমুদ্রপথে নৌবাহিনীর ৬টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রস্তুত রয়েছে কোস্টগার্ড।