শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন

প্রকাশিত: ১১:১১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 
পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। ঢাকার চীন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া ও আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চীনের অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দেন তিনি।

অভিনন্দন বার্তা জিন-পিং উল্লেখ করেন, চীন-বাংলাদেশ প্রতিবেশী হিসেবে দীর্ঘদিন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বিগত ৪৯ বছরে দুই দেশ একে অপরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করছে এবং পারস্পরিক সুবিধা অর্জনে দুপক্ষই লাভবান হয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন-বাংলাদেশ একে অপরের মূল স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে এবং দুদেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের জন্য কাজ করছে। যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তবিক পক্ষে সুবিধাজনক ফলাফল বয়ে আনছে।

গত বছরের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতের প্রসঙ্গ তুলে ধরে জিন-পিং বলেন, আগস্টে আপনার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ যেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলাম তা বাস্তবায়নের জন্য চীন ও বাংলাদেশ যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে। এতে করে পরস্পরের মধ্যে রাজনৈতিক আস্থা বাড়াবে এবং আমাদের ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব উন্নীত করার পাশাপাশি উন্নয়ন কৌশলগুলোকে আরও সমন্বিত করবে।

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন শি।

একই দিনে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং উন্নয়ন অংশীদার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশ রাজনৈতিক আস্থাকে গভীর করেছে এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে ফলপ্রসূ ফলাফল অর্জন করেছে।

লি বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার উন্নয়নে চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও উন্নয়নে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের জনগণ আরও লাভবান হয়।