শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি হওয়া ৩৫ বছরের এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। ওই যুবক নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন। তার মৃত্যুর পর আশেপাশের ৫টি বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও কাশি থাকায় ওই যুবককে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান। এর আগে ১৯ মার্চ কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরীক্ষায় তার যক্ষ্মা ধরা পড়ায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে ২৩ মার্চ তিনি সদর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে যান।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনির আহমেদ খান বলেন, ওই যুবক শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল তার। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন দেওয়া অবস্থায় তিনি মারা যান।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. এস.এম. আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হবে। আইইডিসিআর থেকে ফলাফল পেতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তার পরিবার যে জায়গায় দাফন করতে চায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সেখানেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরা মরদেহ দাফন করে আসবেন।
যুবকের মৃত্যুর পর উপজেলা প্রশাসন পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করেছে। এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার বাসার আশেপাশের পাঁচটি বাড়ি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে।