নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালীন ফকিরাপুল এলাকায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক ফুটবলার আমিনুল হককে জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) আমিনুলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় পল্টন থানার দায়ের করা পৃথক পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখান আদালত। এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম। দুপুরে তাকে এ মামলায় আদালতে তোলা হয়। এ সময় তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুস সালাম, নিপুণ রায়, আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।