পৌষ সংক্রান্তিতে নোয়াখালীতে মাছের মেলা

প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ 

নোয়াখালীর সেনবাগে পৌষ সংক্রান্তিকে ঘিরে জমে উঠেছে মাছের মেলা। মাছ প্রেমীদের রসনার তৃপ্তি মেটাতে মেলাজুড়ে এখন নানা জাতের মাছে ভরপুর। দরদাম হাঁকিয়ে শুধুমাত্র কেনার অপেক্ষা। মাছ কিনতে আর দেখতে মেলায় উৎসুক মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

জানা যায়, পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে নোয়াখালীর সেনবাগের কানকিরহাটে দ্বিতীয়বারের মতো দিনব্যাপী মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিক্রেতারা তাদের থালায় সাজিয়েছেন বড় আকারের রুই, চিতল, কাতল, মৃগেল, কালবাউশ, গ্রাস কার্প, বোয়াল, পাবদা, শোল, গজার, তেলাপিয়া, আইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বাজারে সর্বোচ্চ ১৩ কেজি ওজনের কাতল, রুই, বোয়াল, চিতল, কার্প, আইড় মাছ উঠেছে। এছাড়া পুটি, চিংড়ি, কৈ, চাপিলা, চান্দা মাছ উঠেছে ব্যাপক হারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৩০ জন বিক্রেতা অংশ নিয়েছেন মাছের মেলায়। বড় বড় সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে অনেকে দেশীয় নানা প্রজাতির ছোট মাছও নিয়ে এসেছেন। বেচাকেনাও চলে ব্যাপক। প্রত্যেকটি দোকানের সামনে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। মানুষজন মাছের দাম হাকাচ্ছেন, কিনছেন।

মেলায় মাছ কিনতে আসা ইলিয়াস হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের নোয়াখালীতে একমাত্র এখানেই মাছের মেলা হয়। এছাড়া আর কোথাও এত বিশাল করে মাছ কেনা বেচা হয় না। পৌষ সংক্রান্তিতে আমাদের সবার বাসায় তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পিঠাপুলি। তার সঙ্গে খাওয়ার জন্য বাজার থেকে বড় আকারের পছন্দের মাছ মিলে দারুণ হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালীতে দ্বিতীয় বছরের মতো এই মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হলো। দেশীয় ও সামুদ্রিক মাছের জন্য এটা বিশাল আয়োজন। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ক্রেতারা এসেছেন। নারী-পুরুষ দামাদামি করে মাছ কিনছেন। আয়োজকরা প্রতি বছর আয়োজন করলে ভালো হবে।

মাছ বিক্রেতা ওয়াদুদ মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যবসা বেশ ভালো। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা এবার অনেক বেশি। চট্রগ্রাম, শরীয়তপুর, ঢাকা, ফেনী থেকেও মাছ এসেছে। পাশাপাশি প্রায় ২০ প্রজাতির বঙ্গপোসাগর ও মেঘনা নদীর মাছও এখানে আছে।

মাছের মেলার আয়োজক মো. সাহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাঘ মাসের ১ তারিখ উপলক্ষ্যে দ্বিতীয়বারের মতো এ মাছের মেলার আয়োজন হলো। সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০০ মণ মাছ বিক্রি হবে। প্রকারভেদে এসব মাছের দাম ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা হবে। আশা করি সব মাছ বিক্রি হয়ে যাবে। আগামীতেও এই মেলা অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই আয়োজক।