চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ

প্রকাশিত: ১২:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চার দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতের হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে ঠান্ডার তীব্রতা। এতে শিশু ও মধ্যবয়সী নারীরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া ও ভাইরাস জনিত জ্বরে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে বেড না পেয়ে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে মেঝেতে।মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সাইফুল নামে এক শিশুর স্বজন বলেন, আমার শিশুটিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করেছি। ভর্তির সময় পাতলা পায়খানা ও বমি করছিল। এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আশা করছি দুই-তিন দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাবে। চিকিৎসকরা বলছেন অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে এমন হয়েছে।

মিজানুর রহমান রহমান নামে আরও একজন শিশুর স্বজন বলেন, পাঁচ দিন থেকে আমার শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন ডায়রিয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে বেড নেই তাই মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আমি কতৃপক্ষের কাছে এই ওয়ার্ডের বেড বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানাবো।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতাল থেকে শুধু সকালের নাস্তা দেওয়া হয়েছে। দুপুর ও রাতে কোনো খাবার দেওয়া হচ্ছেনা। বাড়ি দূরে হওয়ায় খুব ভোগান্তি হচ্ছে।

জেলা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.মাহফুজ রায়হান বলেন, প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত ভিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮০-৯০ জন রোগী। তাদের মধ্যে এক বছর থেকে শুরু করে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা বেশি।এছাড়াও আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যবয়সী নারীরা।
হাসপাতালের নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, শীতজনিত ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচতে দ্রতই সকল বয়সী মানুষের জরুরি টিকা নেওয়া প্রয়োজন। এসব টিকা অল্প মূল্যে প্রায় সব জায়গাতে পাওয়া যাচ্ছে। টিকা নিলে মানুষের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হলে এধরনের রোগ বালাই থেকে বাঁচা সম্ভব।