৯ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে যশোর, বন্ধ হয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি, যশোর
হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে যশোর। তীব্র ঠান্ডার সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিপর্যস্ত করে তুলেছে জনজীবন। সোমবার (২২ জানুয়ারি) যশোর জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও যশোরের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের খবর পাওয়া যায়নি। তবে জেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরের পর এক থেকে দুই ঘণ্টার জন্য একটু হলেও সূর্যের দেখা মিলতে পারে। বাতাসের আর্দ্রতা রয়েছে ৯৫ শতাংশ এবং তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরজমিনে সোমবার সকালে, যশোর জেলা স্কুল, কালেক্টরেট স্কুল, যশোর ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানেও এখন পর্যন্ত কোন স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। সকাল তীব্র শীত উপেক্ষা করে শিশুদের স্কুলে নিয়ে আসছেন অভিভাবকেরা।
হাসমী সাজু নামে এক অভিভাবক বলেন, হাড়কাঁপানো শীত, তবুও স্কুল খোলা। সকালে বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে গিয়েছিলাম এখন নিয়ে যাচ্ছি। স্কুল খোলা থাকলে, ক্লাস মিস দিলে সমস্যা। এমন ঠান্ডায় বন্ধ করা উচিত, না হলে খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে বাচ্চাদের জন্য।যশোর জেলা স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নুরানি বেগম বলেন, শীতের মধ্যে রিকশায় করে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে আসছি। হাত-পা কাল হয়ে যাচ্ছে। তবুও তো কিছু করার নেই, যেহেতু স্কুল খোলা।
যশোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন বলেন, আমরা আমাদের এখানে দেখছি, সকালে তাপমাত্রা ১০ এর নিচে নেমেছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। যেহেতু তাপমাত্রা ওঠানামা করে সেহেতু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ১০ এর নিচে তাপমাত্রা নামলে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা এডিসি শিক্ষা মহোদয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।
এদিকে সকাল থেকে যশোর শহরের সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম দেখা গেছে। শীত আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম বলেন, আমরা ৬১ হাজার কম্বল সরকারিভাবে বরাদ্দ ছিল। সেগুলো ইতোমধ্যে উপজেলা এবং মাঠপর্যায়ে বিতরণ করা হয়ে গেছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে, আসলে পুনরায় বিতরণ করা হবে।