# প্রথমবারের মতো যুক্ত ১৫ নারী ফায়ার ফাইটার
# তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নি”েছ না সংশ্লিষ্ট সং¯’াগুলো
# অগ্নিঝুঁকিতে সরকারি ১৩৩৭ ও বেসরকারি ৪৫৩২টি ভবন
# পাঁচ বছরে ১ লাখের বেশি অগ্নিকাÐে আর্থিক ক্ষতি ১ হাজার ৫২৩ কোটি
এসএম দেলেয়ার হোসেন:
প্রায় প্রতিদিনই রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের কোথাও না কোথাও ছোট-বড় অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটছে। কিছু কিছু অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটছে রাজনৈতিক সহিংসতা-নাশকতামূলক কর্মকাÐের মাধ্যমে। এর মধ্যে বেশির ভাগ আগুন লাগার নেপথ্যে কাজ করছে অবহেলা ও অসাবধানতার কারনে। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। অগ্নিকাÐের ঘটনা এড়াতে করণীয় সম্পর্কে নানা শ্রেণীপেশার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সচেতনতা তৈরি করলেও কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কিছু সুপারিশ উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করলেও তা আমলে নি”েছ না সংশ্লিষ্ট সং¯’াগুলো। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন ¯’ানে লাগা আগুন নেভাতে গিয়ে পর্যাপ্ত পানির অভাব আর উৎসুক জনতার চাপে বিব্রতকর পরি¯ি’তির মুখোমুখি পড়ছে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা। একইসঙ্গে আগুন লাগার অনেক পরে খবর পা”েছ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও অপ্রশস্ত রাস্তার কারণে গাড়ি প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হ”েছ। গত ৫ বছরে ১ লাখেরও বেশি অগ্নিকাÐের ঘটনায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ২ হাজার ৩৬০টি অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ঘটেছে ১৯২টি অগ্নিকাÐ। এসব ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছেন। তবে আগের তুলনায় অগ্নিনির্বাপনে প্রতিনিয়তই সক্ষমতা বাড়া”েছ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। সেবামূলক এ সং¯’াটিতে এই প্রথমবারের মতো ১৫ জন নারী ফায়ার ফাইটারকে যুক্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রোববার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টন এলাকার ১৬ তলা ভবন বিশিষ্ট মেহেরবা প্লাজার ১৫ তলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট গিয়ে পৌনে ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে এতে কোনো হতাহত না হলেও আগুন লাগার কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এর কয়েকদিন আগে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কারওয়ান বাজার এলাকায় বিএফডিসির অদুরে মোল্লাবাড়ি বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাÐ সংঘটিত হয়। আগুনে বস্তির প্রায় ৩০০ বসতঘর মালামালসহ পুড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে দেয়া যায়, গত ৫ বছরে দেশের বিভিন্ন ¯’ানে ১ লাখ ১০ হাজার ৪৯২টি অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ২০২২ সালে আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষতি হয় ৩৪২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আর্থিক ক্ষতির মধ্যে, বৈদ্যুতিক গোলযোগের ঘটনায় সৃষ্ট আগুনে ক্ষতির পরিমাণ ৮০২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। যা গত ৫ বছরের মোট ক্ষতির ৫২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর বিভিন্ন ধরনের চুলা (ইলেক্ট্রিক, গ্যাস ও মাটির) থেকে লাগা আগুনে ক্ষতি হয়েছে ১৮২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। যা মোট ক্ষতির ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আগুন লাগার কারণের দিক থেকে দ্বিতীয় অব¯’ানে থাকলেও ক্ষতির দিক থেকে সিগারেটের ফেলে দেওয়া টুকরো থেকে লাগা আগুনে ক্ষতি হয়েছে ১৩৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। গত ৫ বছরের মধ্যে আগুনে আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ২০১৮ সালে। ওই বছর অগ্নিকাÐের ঘটনায় ক্ষতি হয় ৩৮৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত কয়েক বছরে যেসব কারণে আগুন লেগেছে তার মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শীর্ষ ছিল সিগারেটের টুকরো ও চুলা থেকে অগ্নিকাÐ। আর এই দুই কারণের নেপথ্যে রয়েছে অসাবধানতা ও অবহেলা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অপারেশন বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী নিউজ পোস্টকে বলেন, সিগারেট থেকে আগুন লাগার যে পরিসংখ্যান উঠে এসেছে, মূলত এই হিসাবটা আরও বেশি হবে। কারণ কোনো আগুন লাগার ঘটনায় তদন্ত করতে গেলে দেখা যায়, সিগারেটের বিষয়টি অনেকেই গোপন করেন। এছাড়া বৈদ্যুতিক গোলযোগ আগুন লাগার জন্য মূলত দায়ী নিম্নমানের তার ও ডিভাইসের ব্যবহার। সেইসঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা তো আছেই। আর চুলার আগুন মূলত লিকেজ থেকে হয়ে থাকে। এ ছাড়া রান্নাঘরে বাতাসের প্রবাহ না থাকার কারণেও বড় দুর্ঘটনা ঘটে উল্লেখ করেন ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনি”ছুক ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মকর্তা নিউজ পোস্টকে বলেন, দেশের প্রতিটি অগ্নিকাÐের ঘটনায় তদন্ত করে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সং¯’া। ফায়ার সার্ভিসের গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনা¯’ল সরেজমিন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে সময় নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে। এরপর বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহণের সুপারিশ উল্লেখ করে রাজউক, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করে। কিš‘ অজ্ঞাত কারণে সেই প্রতিবেদন আমলে না নেওয়ায় অনাকাঙ্খিত অগ্নিকাÐ রোধ করা সম্ভব হ”েছ না।
এ বিষয়ে ইলেক্ট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব জাকিরউদ্দিন আহমেদ নিউজ পোস্টকে বলেন, প্রকৃত হিসাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই প্রতিবেশীদের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। এসব ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে আসে না। তবে ফায়ার সার্ভিসের এই হিসাব মোটামুটিভাবে গ্রহণযোগ্য। কারণ যথাযথ কমিটি গঠনের মাধ্যমে সময় নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস হিসাবকৃত আর্থিক ক্ষতির চেয়ে ১৫ শতাংশ কম ধরে হিসাব চ‚ড়ান্ত করে। যেটা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোও মেনে নি”েছ। সিগারেটই আগুন লাগার দ্বিতীয় বড় কারণ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, যখন আগুন লাগার যথাযথ কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না তখন সিগারেটকে কারণ হিসেবে মনে করা হয়। প্রকৃতপক্ষে কেন আগুন লেগেছে তা নির্ধারণে উপযুক্ত যন্ত্রপাতি আমাদের দেশে নেই।
সং¯’াটি জানায়, গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ২০২২ সালে। ওই বছর ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার ৮৭৮টি আগুন লেগেছে সিগারেটের ফেলে দেওয়া টুকরো থেকে। আর গত ৫ বছরে বিভিন্ন ধরনের চুলা থেকে আগুন লাগার ঘটনা ১৪ হাজার ২৮৮টি। যা মোট অগ্নিকাÐের ১২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এই অগ্নিকাÐের কারণ গ্যাসের চুলার সংযোগে লিকেজ এবং বদ্ধঘরে রান্নার চুলা বসানো। ওই বছর অগ্নিকাÐে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিহত হয়েছেন ১৩ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। যাদেরকে সরকার অগ্নিবীর হিসেবে উলে¬খ করেছে। ৪ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুÐে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাÐ ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হয় ৫১জন। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৩ জন সদস্য শুধু এই অগ্নিকাÐেই নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ৩৮ জন সাধারণ মানুষ নিহত হন। সীতাকুÐে বিএম কন্টেইনার ডিপোর ঘটনায় অনেক মানুষ মারা গেলেও সার্বিকভাবে গত বছরে অগ্নিকাÐে নিহত মানুষের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০২২ সালে অগ্নিকাÐে নিহত হয়েছেন ৮৫ জন সাধারণ মানুষ। ২০১৮ সালে আগুনের ঘটনায় ১৩০ জন সাধারণ মানুষ মারা যান। পরের বছরে আগুন লাগার ঘটনায় ১ জন দমকল বাহিনীর সদস্যের সঙ্গে মারা যান ১৮৪ জন সাধারণ মানুষ। ২০২০ সালে দেশের বিভিন্ন ¯’ানে আগুন লাগার ঘটনায় ১৫৪ জন সাধারণ মানুষ নিহত হন। পরের বছর ২০২১-এ অগ্নিকাÐে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২১৯ জনে। তথ্য বলছে, গত ৫ বছরে আগুন লাগার ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭৭২ জন সাধারণ মানুষ। আর আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মী।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার নিউজ পোস্টকে বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্য থেকেই ফায়ার ফাইটাররা অগ্নিনির্বাপনের কাজ করছে। অতীতের তুলনায় আমাদের জনবল ও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম অনেক বেড়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ৫০৬টি ফায়ার স্টেশন গড়ে তোলা হয়েছে। আমাদের মোট জনবল ১৪ হাজার ৪৬৮ জন। প্রশিক্ষিত ডুবুরি রয়েছে ৯৫ জন। আগুন নেভানোর গাড়ি রয়েছে ১৬০২টি। গত বছরের ১৯ নভেম্বর ফায়ার সার্ভিসে এই প্রথমবারের মতো ফায়ার ফাইটার পদে ১৫ নারী যোগ দিয়েছেন। সেদিন মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে তাদের স্বাগত জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। এর আগে গত বছরের ২০ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে ২ হাজার ৭০৭ জন নারী ফায়ার ফাইটার পদে আবেদন করেন। শারীরিক যোগ্যতা, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে ১৫জনকে বাছাই করে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, এখনও মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। সাধারণ জনগণকে আরও সচেতন করে তুলতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরীসীম। এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অগ্নিনির্বাপনে দ্রæত করণীয় সম্পর্কে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ১৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিš‘ দেশের কোথাও অগ্নিকাÐ সংঘটিত হলে সেইসব প্রশিক্ষণার্থীদের তৎপরতা তেমন একটা উপ¯ি’তি দেখা যায়না। সারাদেশে এখনও অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে ৬১০৬টি ভবন। এরমধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৬১৭টি। সরকারি ভবনগুলোর মধ্যে ১৩৩৭টি বেসরকারি ৪৫৩২টি ভবন অগ্নি ও ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে।
শাহজাহান শিকদার বলেন, নৌ-দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবি, বহুতল ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধারে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং অগ্নিনির্বাপনে দেশের প্রতিটি ফায়ার স্টেশনে রাত-দিন পালাক্রমে পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্র¯‘ত রয়েছে ফায়ার ফাইটাররা। আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট স্টেশনে পাগলা ঘন্টা বা সাইরেন বেজে ওঠে। ওই শব্দ পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডর মধ্যেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনা¯’লের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় ফায়ার ফাইটাররা। রাস্তায় যানজট, ঘটনা¯’লে উৎসুক জনতার ভিড়, সরু রাস্তা আর দুর্ঢ়টনা¯’লে রিজার্ভ পানির অভাবে আগুন নেভাতে অনেক সময় বিব্রতকর পরি¯ি’তির মুখে পড়ে ফায়ার ফাইটাররা। অগ্নিদুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে হলে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। গ্যাস-বিদ্যুৎ ও দাহ্য পদার্থ বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সর্বো”চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের এই কর্মকর্তা।