প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে মরুর দেশ সৌদি আরবে। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনই নতুন করে রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্তের খবর জানাচ্ছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪৮৪ জন।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৩ জন। এর মধ্যে ৩৪ জনই বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলে (জেদ্দা) ৩২ জন এবং পূর্বাঞ্চলে (২ জন) বাংলাদেশি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দূতাবাস ও কনস্যুলেট ও দূতাবাস থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হালনাগাদ তালিকায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদ এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন, সাভাররের কোরবান, নড়াইলের ডাক্তার আফাক হোসেন মোল্লা, চট্রগ্রামের মোহাম্মদ হাসান, চট্রগ্রামের মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ভোলার মোহাম্মদ হোসেন (রিয়াদ), পাবনার আব্দুল মোতালেব, মানিকগঞ্জের মান্নান মিয়া, চট্রগ্রামের মোহাম্মদ রহিম উল্লাহ, নরসিংদীর খোকা মিয়া, চট্রগ্রামের নাসির উদ্দিন, বরগুনার রুস্তম খন্দকার এবং চাঁদপুরের মোহাম্মদ জাহিদ, আজিবর, সাইফ উদ্দিন টুটুল, চট্রগ্রামের মোহাম্মদ শফিউল আলম, শেখ মোহাম্মদ আলী, আহমেদ হোসাইন, মোহাম্মদ জমির উদ্দিন, মোহাম্মদ ইসলাম।
ঢাকার মো. দেলোয়ার হোসেন, কুমিল্লার মাহবুবুল হক, চট্রগ্রামের মো. মোরশেদুল আলম, বরিশালের মো. হারুন ভুঁইয়া, নোয়াখালীর ফিরোজ, কক্সবাজারের আমান উল্লাহ্, জিয়াউর রহমান, চাদপুরের সিরাজুল ইসলাম, চট্রগ্রামের উবায়দুর রহমান চৌধুরী জুয়েল, নুরুল ইসলাম এবং রাশেদুল আলম তালুকদারসহ আরও চার জন।
বিদেশিদেরকে স্থানীয় আইন মেনে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে মিশনগুলো। বড় বড় শপিং মলের সামনে করোনা থেকে বাঁচার বিভিন্ন উপায় সম্বলিত রোল আপ স্ট্যান্ড লাগানো হয়েছে।
বাংলাদেশিরা খুব বেশি আইন মানছেন না এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তারা বলছেন কিছু কিছু এলাকায় কিছু অতি উৎসাহী বাংলাদেশিদের কারণের সৌদি আরবে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিরা বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হতে পারেন। সৌদি আরবে কর্মরত বেশিরভাগ বাংলাদেশি যেহেতো নিম্ন আয়ের এবং গণবসতিতে বাস করেন। সেহেতু এখনই যদি সতর্ক না হয় তাহলে সামনে ভয়ঙ্কর পরিণতি অপেক্ষা করছে বলেও মত দেন অনেকে।