বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য মোহাম্মদ রইস উদ্দিনের (২৫) গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মরদেহের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার তারাপুর গ্রামে নিহত রইস উদ্দিনের বাড়িতে এমন চিত্র দেখা যায়।
রইস উদ্দিনের মা রুমালি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলেতো আর পৃথিবীতে নেই। তাই আমি চেয়েছিলাম আমার ছেলেকে আমার বাড়ির পাশে দাফন করব। শুনেছি যশোরের বেনাপোলে ধান্যখোলা জেলেপাড়া সীমান্তে আমার ছেলের মরদেহ হস্তান্তর করেছে। জানতে পেরেছি হেলিকপ্টারে বাড়িতে আসবে তার মরদেহ। তাই আমার ছেলের মুখটা দেখব বলে অপেক্ষায় আছি।
প্রতিবেশী হাসান আলী বলেন, আমরা সাড়ে ৬টায় দাফনের সময় নির্ধারণ করেছি। শ্যামপুর ভবানিপুর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মরদেহ যশোর জেলা হাসপাতালে রয়েছে। আমরাও অপেক্ষায় আছি। মরদেহ পেলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।এর আগে যশোরের বেনাপোলে ধান্যখোলা জেলেপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবির সিপাহী রইস উদ্দিনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ১৫মিনিটের সময় ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক ও সহকারী পরিচালক মাসুদ রানার কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ভারতের গাঙ্গুলিয়া পাড়া সীমান্ত দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারিকে সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখে বিজিবির টহল দল তাদের ‘চ্যালেঞ্জ’ করে। চোরাকারবারিরা তখন দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইস উদ্দিন চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ ঘটনার পরপর উভয় দেশের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। পরে জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সৈনিক মারা যান।