ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের প্রতি পুলিশের ১১ নির্দেশনা

প্রকাশিত: ১১:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী ২-৪ ফেব্রæয়ারি এবং ৯-১১ ফেব্রæয়ারি দুই পর্বে রাজধানীর তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। এ অনুষ্ঠান নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইজতেমায় আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের প্রতি ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। একইসঙ্গে সেগুলো ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের তা মেনে চলতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর। এসময় তিনি ১১টি নির্দেশনা তুলে ধরেন।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. ইজতেমায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন এবং প্রয়োজনে সহযোগিতা নেবেন।
২. নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করবেন এবং অপরিচিত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং কোনো পোটলা, ব্যাগ বা সন্দেহজনক বস্তুর উপস্থিতি দেখামাত্র তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করবেন।
৩. টাকা, মূল্যবান সামগ্রীসহ একাকী বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করবেন না এবং সবসময় টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী নিজ হেফাজতে রাখবেন। টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি বা হারিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করবেন।
৪. হকার ও ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে খাদ্য বা পানীয় গ্রহণে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির কবলে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
৫. মুসল্লিদের নিরাপদ ও নির্বিঘœ চলাচলের সুবিধার্থে ইজতেমা চলাকালে প্রধান সড়কসমূহ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাঁবু খাটাবেন না কিংবা অন্য কোনোভাবে সড়ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকা ব্যবহার করবেন না।
৬. অসুস্থ হলে ইজতেমার জন্য নির্ধারিত অস্থায়ী হাসপাতাল ও নিকটবর্তী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বা প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেবেন।
৭. গুজব শুনলে বা কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে ধৈর্য ধরে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করবেন।
৮. ট্রেনে নাশকতা সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটবর্তী থানা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানাবেন।
৯. রান্না করার সময় আগুন থেকে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। খিত্তা এলাকায় বা নিজেদের অবস্থানস্থলে ধূমপান করবেন না। খিত্তায় সবসময় পানি মজুত রাখবেন।
১০. ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল নির্বিঘœ রাখতে ঢাকা মহানগরীর প্রগতি সরণি থেকে টঙ্গী ফ্লাইওভার পর্যন্ত, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী ফ্লাইওভার থেকে চৌরাস্তা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রধান সড়কের ৫০ গজের মধ্যে মাইক লাগাবেন না।
১১. জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ট্রেনে কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে চলাচল করবেন না।
এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে ইজতেমাস্থলের নিকটস্থ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে যেসব নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে-
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ : উপ-পুলিশ কমিশনার, উত্তরা- ০১৩২০-০৪১৭৪০, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)- ০১৩২০-০৪১৭৪১, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণখান)- ০১৩২০-০৪১৭৪২, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তরা)- ০১৩২০-০৪১৭৪৩, সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা)- ০১৩২০-০৪১৭৫৪, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)- ০১৩২০-০৪১৭৫৭, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন)- ০১৩২০-০৪৩৯৫৫, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৪১৭৮৯, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা, পশ্চিম থানা- ০১৩২০-০৪১৮১৭, অফিসার ইনচার্জ, তুরাগ থানা- ০১৩২০-০৪১৮৪৫, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম- ০১৭১১-০০০৯৯০।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ : উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)- ০১৩২০-০৭০৩৩০, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)- ০১৩২০-০৭০৬৪১, সহকারী পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন)- ০১৩২০-০৭০৬৫৮, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পশ্চিম থানা- ০১৩২০-০৭০৭৫১, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পশ্চিম থানা- ০১৩২০-০৭০৭৫৯, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭২২, ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭৩০, ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭৩০, ইজতেমা কন্ট্রোল রুম (হটলাইন)- ০১৩২০-০৭২৯৯৯, কন্ট্রোল রুম, জিএমপি- ০১৩২০-০৭২৯৯৮, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম-০১৩২০-০৭১২৯৮।
র‌্যাব : র‌্যাব-১ কন্ট্রোল রুম- ০১৭৭৭৭১০১৯৯, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্স কন্ট্রোল রুম- ০১৭৭৭-৭২০০২৯ এবং প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।