ডেস্ক রিপোর্ট :
বাংলাদেশে মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের প্রশ্নে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে জাতিসংঘ। নির্বাচনের আগে থেকে নির্বাচনের পরে- এখনও তারা এ বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগের কথা জানাচ্ছে। তবে শুধু উদ্বেগ প্রকাশ ছাড়া আর কিছু করার আছে কিনা, সে বিষয়েও জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
স্থানীয় সময় বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এক ব্রিফিংয়ে ডুজারিক বলেন, যে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে উত্তম মেকানিজম হলো, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মধ্যে ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ বা পর্যালোচনা করা।
ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে জাতিসংঘের আহ্বান বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে। ক্ষমতাসীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, ‘জাতিসংঘ থেকে কে কী বলছে তা আমরা পরোয়া করি না।’ আমার প্রশ্ন- শুধুমাত্র উদ্বেগ প্রকাশ করা ছাড়া মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রকে জবাবদিহিতার কোনো প্রক্রিয়া কি জাতিসংঘে রয়েছে?
জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, কোনো সদস্য রাষ্ট্রের জন্য সম্ভবত সর্বোত্তম প্রক্রিয়া হলো জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের মধ্যে ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ পর্যালোচনা। আমি বলবো সম্ভবত এটাই উত্তম কৌশল বা মেকানিজম।
প্রসঙ্গত, ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ একটি প্রক্রিয়া, যাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশ্বজনীন পর্যালোচনা উঠে আসে। সম্প্রতি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর পর্যালোচনা উঠে এসেছে ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউয়ে। গত ১৩ নভেম্বর জেনেভায় চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এর আগে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালের এপ্রিল ও ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার মানবাধিকার পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়।