বাজেটের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৮:১১ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২০

আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় সরকারের চলমান কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান এবং সময় মতো তা ছাড়ের বিষয়েও খোঁজ-খবর নিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৭ মে) গণভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী খোঁজ নেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজকের বৈঠকে মাত্র তিন জন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। এর বাইরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের চলমান কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দেওয়ার পরিকল্পনা এবং তা ছাড়ের অগ্রগতির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে কোনও ধরনের জটিলতা নেই বলে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন অর্থমন্ত্রী। করোনাকালে ঘরে অবস্থান করা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত ত্রাণের অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে যাতে কোনও ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা না হয় সেদিকে নজর রাখারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। ত্রাণ নিয়ে কোনও ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলেও পুনরায় হুঁশিয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্ভাব্য বাজেটের খসড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেখানে নতুন বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৫ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে বলে জানা গেছে। এটি চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। তবে বাজেটের এই আকার, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন ও বরাদ্দ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আগামী বাজেটে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, নিম্ন আয়ের মানুষকে পুনর্বাসন এবং সাধারণ মানুষের ওপর নতুন করে বাড়তি করের চাপ না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি আসন্ন বাজেটে কৃষি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি খাতকে অগ্রাধিকারে নিয়ে বাজেট তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পদ্মা সেতু প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা রেল লিংক প্রকল্প, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেল সেতু প্রকল্প, দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেলসহ বিদ্যুতের কয়েকটি বড় অবকাঠামো প্রকল্প খাতের বরাদ্দ এবং এসব প্রকল্পের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও কাজের অগ্রগতির বিষয়েও খোঁজ নেন শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল গণভবনে মন্ত্রিসভার সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সূত্র-বাংলাট্রিবিউন।