নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তারের বাসায় চুরির মামলায় আরেক ক্রিকেটারের স্বামী মো. আল-আমিন দেওয়ান আযান ও আব্দুর রহিম মিলনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আযানের তিন দিন এবং মিলনের এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রæয়ারি) নিউজ পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রæয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মশিউল আলম ভ‚ঁইয়া আসামিদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। মিলনের পক্ষে তার আইনজীবী নুরুল ইসলাম দিদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন। তিনি বলেন, আসামি আযান তার বোনের মোবাইল বলে মিলনের কাছে বিক্রি করে। ছবিও দেখায় সে। মিলন সরল বিশ্বাসে মোবাইলটি কেনে। আযানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আযান আদালতকে বলেন, ‘সাড়ে ৩ হাজার ডলার নয়, ৭০০ ডলার ভাঙিয়েছি। ওরা (বাদী) তা জানে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, বাসা থেকে দুটি আইফোন ও ওয়ারড্রবের তালা ভেঙে সাড়ে ৩ হাজার ডলারসহ মোট সাড়ে ৫ লাখ টাকার মালামাল চুরির অভিযোগে গত ২৯ জানুয়ারি স্বর্ণা আক্তার মামলা দায়ের করেন। এরপর দিনাজপুর থেকে আযানকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তার কাছ থেকে চুরি হওয়া আইফোনসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। মুগদা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মিলনকে।
মামলায় স্বর্ণা আক্তার অভিযোগ করেন, ২৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আযানকে বাসায় রেখে তিন রুমমেটসহ রাজধানীর তেজকুনিপাড়ায় খেলাঘর মাঠে অনুশীলন করতে যাই। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযুক্ত আল-আমিন দেওয়ান আযান মাঠে এসে আমাকে বলেন, ‘তোমার মোবাইল ফোন কোথায়?’ আমি বলি, ‘আমার ব্যাগে’। এরপর তিনি আমার ব্যাগ থেকে দুটি মোবাইল ফোন বের কিছুক্ষণ ছবি উঠিয়ে বেলা ১২টার দিকে মাঠ থেকে চলে যান। অন্য রুমমেটের ফোন থেকে দুটি মোবাইল নম্বরে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাই। মাঠের অনুশীলন শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় ফিরে দেখি, ফ্ল্যাটের মূল দরজা লক করা। বাসার দারোয়ানকে ডেকে তালা ভেঙে দরজা খুলে বাসার ভেতর প্রবেশ করে দেখতে পাই, রুমের সমস্ত জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে।