সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আর নেই। রোববার রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি….. রাজিউন)।
গত ৭ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কামরানকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। গত ৫ জুন ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় কামরানের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর পরদিন তাকে শহীদ শামসুদ্দিনে ভর্তি করা হয়।
সোমবার ভোরে সাবেক মেয়র কামরানের ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু তার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেন। কামরানের ব্যক্তিগত সহকারী বদরুল ইসলাম জানান, সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামরানের সঙ্গে তার বড় ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কামরানকে ঢাকায় নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে ‘প্লাজমা থেরাপি’ দিয়েছিলেন।
করোনা শনাক্ত হওয়ার পর প্রথমে নগরীর ছড়ারপারের বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন কামরান। গত ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে তিনি নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শারীরিক অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিমানবাহিনীর একটি বিমানে কামরানকে ঢাকার সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকরা তার দেহে করোনাজয়ী একজনের শরীর থেকে সংগৃহিত ‘এ’ পজেটিভ রক্তের প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এতে কামরানের শারীরিক অবস্থার একটু উন্নতি হয়।
তবে রোববার মধ্যরাতের পর থেকে কামরানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। করোনায় আক্রান্ত কামরান দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিকস, হার্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম দুবারের মেয়র কামরান তৎকালীন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন।
একইভাবে তিনি দীর্ঘদিন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মহানগরের সর্বশেষ সম্মেলন পর্যন্ত তিনি সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
প্রয়াত কামরানের স্ত্রী মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরানও করোনা আক্রান্ত। গত ২৭ মে আসমা কামরানের করোনা ধরা পড়ে। তিনি বর্তমানে বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।