বিশ্বের প্রত্যেক অঞ্চলে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তে প্রতিদিনই পূর্বের দিনের রেকর্ড ভাঙছে।
গত সপ্তাহে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিগত সপ্তাহের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।
রয়টার্সের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত মাসে বেশ কয়েকটি দেশে করোনার সংক্রমণ অনেক বেড়েছে। এগুলোর মধ্যে সাতটি দেশে বাড়তে শুরু করেছে তিন সপ্তাহ আগে থেকেই।
দুই সপ্তাহ আগে থেকে ১৩টি দেশে, ২০টি দেশে গত সপ্তাহ থেকে এবং চলতি সপ্তাহে ৩৭টি দেশে বাড়তে শুরু করেছে। আক্রান্ত ও মৃতের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিতভাবে অনেক দেশে জানানো হচ্ছে না।
বিশেষ করে যে সব দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল সে সব দেশে এ সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা।
দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের পর অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেলবোর্নে ছয় সপ্তাহের আংশিক লকডাউন এবং মাস্ক পরার ওপর বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে। বার, রেস্তোরাঁগুলোতে তরুণ-তরুণীদের সামাজিক বিধি ভেঙে পার্টির আয়োজনের কারণে জাপানে চলতি সপ্তাহে সংক্রমণের হার বেড়েছে।
নতুন সংক্রমণ শুরু হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান শনিবার থেকে দুই সপ্তাহের লকডাউন দিয়েছে। এ লকডাউনের মধ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে দেশটিতে।
ইউরোপের অন্যান্য দেশের নাগরিকরা স্পেনে ভ্রমণ শুরু করায় দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ আবার বেড়েছে। প্রথম দফায় স্পেনে ভয়ংকর তাণ্ডব চালিয়েছে করোনা।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনাভাইরাস ভয়ংকর থাবা বসিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে দেশটি। আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ছুঁইছুঁই। মারা গেছে ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ।
দেশটির গণস্বাস্থ্য গবেষণাকেন্দ্র ফিয়োকরুজের মার্সেলো গোমস বলেন, ব্রাজিলের ২৭টি রাজ্যের সবক’টিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সাওপাওলো ও রিও ডি জেনেরিও-এ দুই রাজ্য হটস্পট। দক্ষিণ এবং মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় ১০টি রাজ্যে রোগী শনাক্ত বেড়েছে। আর ১৩টি রাজ্য স্থিতিশীল রয়েছে।
ভিয়েতনামে গত এপ্রিলের পর শনিবার থেকে কমিউনিটি সংক্রমণ শুরু হয়েছে। ফলে দেশটি আবারও করোনাবিধি আরোপ করেছে।
ভিয়েতনামের পর্যটক হটস্পট ডানাং শহরে রোববার আরেকজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে গত তিন মাসের মধ্যে দেশটিতে প্রথমবারের মতো করোনা শনাক্ত হল।