সারাদেশে আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। কঠোর এই লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গার্মেন্টস কারখানা খোলা থাকবে।
এ প্রসঙ্গে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, যেহেতু মুভমেন্ট পাস নেই, সেহেতু যেসব শ্রমিক কারখানার পাশে থাকবে কেবল তারাই কারখানা প্রবেশ করতে পারবে।
তিনি বলেন, পায়ে হেঁটে, রিকশা বা সাইকেল চালিয়ে কারখানায় আসা যাবে। মালিকদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। যেসব মালিক কারখানার আশপাশে থাকবে কেবল তারাই কারখানায় প্রবেশ করতে পারবে। দূর থেকে কোনও শ্রমিক বা মালিক কোনও কারখানায় যাওয়া-আসা করবে না। তবে দূর থেকে কেউ আসতে হলে তাকে রিকশা অথবা সাইকেল চালিয়ে অথবা হেঁটে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই। একই সঙ্গে আমরা কারখানা চালু রাখতে চাই। যেহেতু রাস্তায় যানবাহন চলবে না, সেহেতু সীমিত আকারে হোক আর পুরোপুরি হোক কারখানার আশপাশের শ্রমিকদের দিয়ে কারখানা চালু রাখতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কারখানার ভেতরে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। আর কারখানায় শ্রমিকদের আসা-যাওয়ার জন্য মালিকরা ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ শ্রমিক পায়ে হেঁটে কারখানায় আসে। ফলে শ্রমিকদের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে যেসব শ্রমিক দূর থেকে আসে। তারা আপাতত কারখানায় আসবে না। অথবা মালিকদের গাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানায় প্রবেশ করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, সবাই আইডি কার্ড প্রদর্শন করে কারখানায় প্রবেশ করবে। মালিক ও কর্মকর্তারাও সার্বক্ষণিক আইডি কার্ড প্রদর্শন করে পুলিশের সঙ্গে কোমল ব্যবহারের মধ্য দিয়ে কারখানা প্রবেশ করবে। তবে ঢাকা বা গাজীপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়া আসা। অথবা নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা বা গাজীপুর যাওয়া আসা আপাতত বন্ধ থাকবে।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘যানবাহন বন্ধ থাকবে এটা মেনেই কারখানা খোলা থাকবে। তিনি বলেন, ‘যেসব শ্রমিক বা কর্মকর্তা অথবা দায়িত্বশীল কারখানার দূরে বসবাস করেন, এই কয়দিনের জন্য তারা কারখানার আশপাশে থাকবেন, অথবা কারখানার ভেতরে অবস্থান করবেন।