এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি র্যাম্প খুলছে ২০ মার্চ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) সংলগ্ন ডাউন র্যাম্প (নামার সংযোগ সড়ক) অবশেষে বুধবার (২০ মার্চ) খুলতে যাচ্ছে। ফলে উত্তরা থেকে আসা গাড়িগুলো খুব সহজেই মগবাজার, হাতিরঝিল ও কারওয়ান বাজার এলাকায় নামতে পারবে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ।তিনি বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র্যাম্প চলাচলের জন্য আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১০টায় চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এটি উন্মুক্ত করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার জানিয়েছিলেন, এফডিসির ডাউন র্যাম্পের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে আগেই। র্যাম্প চালু হলে কি ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, তা নিয়ে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে পর্যালোচনা চলছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, র্যাম্পের কাজ শেষ। পাশে আইল্যান্ড ঢালাইয়ের কাজও শেষ। র্যাম্পটি মূলত এফডিসি মূল গেট থেকে সামনে নেমেছে। এ র্যাম্পের নিচ দিয়ে এফডিসিতে যাওয়ার প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে।ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। আর র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে।
এর আগে গত বছর ২ সেপ্টেম্বর বর্তমান সরকারের এ মেগা প্রকল্পের আংশিক উদ্বোধন করা হয়। আর ৩ সেপ্টেম্বর থেকে যান চলাচল শুরু হয়। বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খুলে দেওয়া হয়। এ অংশে ১৫টি র্যাম্প রয়েছে।এএইচএমএস আকতার বলেন, আমাদের এখন পর্যন্ত ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ অংশে কাজ চলছে। এখানে সোনারগাঁও হোটেলের পাশে একটা ওঠার র্যাম্প হবে।
প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয় ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকি ব্যয়ের মধ্যে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ, চীন শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল গ্রুপ ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন ১৫ শতাংশ।