ফেনসিডিলসহ ফেন্সি সজীব গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা মাদক সম্রাট মো. সজীব ওরফে ফেন্সি সজীবকে (৩০) ৯৫৮ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সিটি হাউজিং এলাকা থেকে বুধবার (২০ মার্চ) ভোরে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২ এর একটি দল।র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম জানান, র‌্যাব-২ এর মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার আন্তঃজেলা মাদক সম্রাট ফেন্সি সজীব কুমিল্লা সদরের তাজুল ইসলামের ছেলে।

শিহাব করিম জানান, বেশ কিছু দিন ধরে র‌্যাবের কাছে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য আসে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অসাধু মাদক কারবারিরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক এনে বছিলা সিটি হাউজিং এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্রি করছে।

তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লা থেকে মাদকের একটি বড় চালান ঢাকায় নিয়ে এসে ভাড়া করা বাসায় রেখে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছে একটি চক্র। ওই সংবাদের সত্যতা যাচাই এবং মাদক উদ্ধার ও মাদক কারবারিকে আটক করতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় সিটি হাউজিং এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র‌্যাব-২।

এরই ধারাবাহিকতায়, র‌্যাব-২ এর একটি দল বুধবার (২০ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার সিটি হাউজিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ফেন্সি সজীবকে গ্রেফতার করে।পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, টয়লেটের ওপরে ফলসছাদ এবং গেস্ট রুম থেকে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা পাঁচটি প্লাস্টিকের বস্তায় মোট ৯৫৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সজীব জানায়, সে আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকের ডিলার। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লা এলাকা হওয়ায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। সে একটি সংঘবদ্ধ মাদক কারবারি চক্রের প্রধান এবং দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লা থেকে রাজধানীতে মাদক নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে নতুন নতুন বিশেষ বিশেষপন্থা অবলম্বন করে। সে ঢাকা শহরের মোহাম্মদপুর সিটি হাউসিং এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়েছে মূলত মাদক মজুত রেখে বিক্রি করতো।

সজীব দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লা থেকে মাদক নিয়ে এসে ঢাকা শহরে বিভিন্ন এলাকায় মাদক কারবারির কাছে মাদক সরবরাহ করছিল। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।