পৃষ্ঠপোষক, আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা যেই হোক তালিকা করে কঠোর ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

কিছুদিন আগেও ঢাকায় ৩৪টি কিশোর গ্যাং ছিল। সম্প্রতি এই তালিকা বড় হয়েছে। এই কিশোর গ্যাং কালচারের নেপথ্যের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের তালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যে যে বড় ভাই থাকুক না কেন, যেই রাজনৈতিক দলেরই হোক না কেন, শিশুদের ভিন্নভাবে অপরাধকাজে ব্যবহার করা অপরাধ। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদেরও তালিকা করে প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কিশোর অপরাধ বৃদ্ধিতে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে শনিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে এ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত আইজিপি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, অপরাধীর কোনো দল নেই। থাকার কথা না। অপরাধীই বরং কোনো কোনো দলে শেল্টার নেয়। অতীতে আমরা তাই দেখেছি। কিশোর অপরাধ নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়েছে। কিশোর অপরাধের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়।ডিএমপির পক্ষ থেকে বলতে চাই, কিশোর অপরাধের পেছনে যদি কেউ কোনো পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা আছে বলে আমি মনে করি না।

কিশোর অপরাধের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিশোর অপরাধী গ্যাং ছিল ৩৪টি। এটা সম্প্রীতি বেড়েছে। আমরা বেশ কিছু গ্যাংকে নতুন করে শনাক্ত করেছি। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই কিশোর অপরাধে যারা জড়িত বা সংশ্লিষ্ট তাদের বিরুদ্ধে আইনের মাত্রা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এই কিশোর অপরাধে যেন কেউ পৃষ্ঠপোষকতা না করে। কার্যক্রমের জন্য কিশোরদের যেন ব্যবহার করা না হয়। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।

পৃষ্ঠপোষক, আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের তালিকা করবেন কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৃষ্টপোষকদের নাম আসছে। তাদের তালিকা করা হবে। নাম কিছু এসেছে। আরো কিছু আসলে তালিকা হালনাগাদ করা হবে।