মেঘনায় নিখোঁজদের সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের খোঁজে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে মেঘনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর দুটি উদ্ধারকারী ডুবরি দল উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টার দিকে তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্যের ডুবরি দল। এরপর নিখোঁজ আটজনের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫) ও তার মেয়ে মাহমুদা সুলতানার (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ পর্যন্ত মোট তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ স্বজনদের মাধ্যমে জানা যায় এখনও এক পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজরা হলেন, নরসিংদির বেলাব থানা পুলিশের দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮), শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫), শহরের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী টুটনদের মেয়ে আরাধ্য (১১), পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৪) ও তার ছেলে রাইসুল (৫)।
ভৈরব নদী ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ আজিজুল হক রাজন বলেন, শনিবার দুপুরে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের মত রোববার সকাল থেকে পুনরায় নিখোঁজসহ ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারের জন্য আমরা অভিযান শুরু করেছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যই ডুবে যাওয়া ট্রলারটি তীরে ওঠাতে পারব।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব ব্রিজের নিচ থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে ঘুরতে বের হন কয়েকজন। ইফতারের আগ মুহূর্তে ট্রলারটি চরসোনারামপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।