খেজুর খাওয়ার এই উপকারিতাগুলো জানতেন?

প্রকাশিত: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক

খেজুর ছাড়া ইফতার অসম্পূর্ণ যেন। তাই তো রোজায় আমাদের খেজুরের প্রয়োজন হয় সবচেয়ে বেশি। তবে শুধু রমজানে নয়, খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন সারা বছরই। কারণ এই পুষ্টিকর ফল খাওয়ার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। যারা সারা বছর খাবারের তালিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক, তারা ডায়েটে রাখতে পারেন খেজুর। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে আরও অনেক উপকার করে থাকে।

খেজুর হলো এমন একটি ফল যা শরীরকে অনেকগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিতে পারে। তাই আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন তাহলে খেজুর আপনার খাবারের অংশ করে নিন। ইফতারের পাশাপাশি অন্যান্য সময়েও খেজুর রাখুন আপনার পাতে। এতে অনেকগুলো উপকার মিলবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. হজমশক্তি ভালো রাখে

পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুর হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে দারুণভাবে সাহায্য করে থাকে। বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনেকেই খাবারের দিকে খেয়াল রাখার সময় পান না। বাইরের খাবার বা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন সময়ের অভাবে। এ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই যদি কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিতে পারেন তাহলে তা আপনাকে ভালো হজমে সাহায্য করবে।

২. ফাইবারের জোগান

খেজুরে থাকে অনেকগুলো পুষ্টিকর উপাদান। বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাদের ডায়েট মেনটেইন করার জন্য প্রয়োজন পড়ে বেশ খানিকটা ফাইবারের। এই ফাইবারের জোগান দিতে পারে খেজুর। কারণ এই শুকনো ফলে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার। তাই এটি দ্রুত শক্তি প্রদান, ভালো হজমসহ নানা উপকারে আসে।

৩. ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ

রোজায় সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে কিছু ঘাটতি তৈরি হতে পারে। পুরো এক মাস আপনার খাবারের তালিকায় খেজুর রাখলে তা সেসব ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে। কারণ খেজুরে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ইত্যাদি। এই প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।

৪. শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

খেজুরে থাকে পর্যাপ্ত মাত্রায় ক্ষারীয় লবণ। এই উপাদান আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ দক্ষভাবে সাহায্য করে করে থাকে। পরিমিত খেজুর খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী একটি খাবার হতে পারে খেজুর।

৫. পানির ঘাটতি পূরণ

সারাদিন রোজা থাকার ফলে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। এই ঘাটতি পূরণে খেতে হবে পানি সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাবার। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে খেজুর। কারণ খেজুরের মধ্যে পানির মাত্রা থাকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। তাই ইফতার ও সাহরিতে খেজুর খেলে তা শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে অনেকটাই।