ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে রোগীদের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা 

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে কিছুটা দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। এতে বাড়তি চাপে পড়েছেন অন্যান্য চিকিৎসকরা।বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। যা চলবে আজ সোমবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।

এদিকে আজ সোমবার দুপুরে খুমেক হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেছে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এ সময় তারা বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনোভাবেই চলা সম্ভব নয়। তাই তাদের ভাতা ৩০ হাজার টাকা করতে হবে। পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের বেতন ছয় মাসে দেওয়ার কথা থাকলেও আজ নয় মাস হয়ে গেছে, এখনো তাদের বেতন দেওয়া হয়নি। অনতিবিলম্বে তাদের বেতন দিতে হবে। তাদের বেতন ২৫ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালানো অসম্ভব। তাই তাদের বেতন ৫০ হাজার টাকা করতে হবে।

তারা আরও বলেন, কর্মসূচি দিলে আমাদের দাবি মানা হয়, অন্যথায় হয় না। কেন এটা হবে, আমরা কাজ করতে চাই। রোগীদের সেবা করতে চাই। আমাদের পথে নামতে হবে কেন? দ্রুত দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, রোজার মধ্যে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে তাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর নোয়াগাতি বাজার এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা স্ট্রোক করায় চারদিন আগে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে সকালে একবার চিকিৎসক আসলেও সারাদিন আর কেউ আসে না। জরুরি সমস্যায় নার্সদেরও পাওয়া যায় না। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আসাদুজ্জামান সাগর বলেন, গত বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রী তাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বেতন ১৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ হাজার টাকা করা হোক। দাবি মানা না হলে রাতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত যেটা আসবে আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, ৫০০ বেডের হাসপাতালে ১ হাজার ৩০০ রোগীর বেশি ভর্তি থাকে। সেখানেই চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হয়। আর রোগীদের সেবায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ভূমিকা রাখেন। তাদের কর্মবিরতিতে অন্য চিকিৎসকদের চাপ বেড়েছে। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়া অন্য চিকিৎসকরা যথারীতি রোগী দেখছেন। রোগীদের যাতে দুর্ভোগ না হয় সে চেষ্টা করছেন তারা।