রংপুর করোনা হাসপাতালে শয্যা খালি নেই, রোগী ভর্তি বন্ধ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
রংপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। এদিকে রংপুর করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতালে রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যা ফাঁকা নেই। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে ৯১টির। এর মধ্যে ৯০টি শয্যায় রোগী ভর্তি আছে। এ পরিস্থিতিতে আগামীকাল রবিবার থেকে রোগী ভর্তি বন্ধের ঘোষণা নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই হাসপাতালে কাগজে-কলমে ১০টি আইসিইউ শয্যা থাকলেও ভেন্টিলেটর সুবিধা আছে আটটিতে। শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে একটি শয্যা খালি ছিল। শনিবার (৩ জুলাই) সকালে একজন মুমূর্ষু রোগী ভর্তি হওয়ায় সবগুলো শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে নতুন করে আইসিইউতে রোগী ভর্তির সুযোগ নেই।
এদিকে একশ শয্যার করোনা ডেডিটেকেড হাসপাতালে সরাসরি অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে ৯১টিতে। শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৯০ জন রোগী সেখানে ভর্তি রয়েছেন। ফলে সেখানে আর মাত্র এক জন রোগী ভর্তি করা যাবে।
এ ব্যাপারে করোনা আইসোলেশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরন্নবী বলেন, রংপুর ছাড়াও এই হাসপাতালে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও গাইবান্ধার করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করা হয়। যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এখানে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে না। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আলাদাভাবে করোনা ইউনিট চালু করে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া যেতে পারে। এ জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
তিনি জানান, রংপুর করোনা হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা আছে ১০টি। এর মধ্যে আটটিতে মেশিন আছে। মাত্র আটটি আইসিইউ শয্যা দিয়ে এত বড় হাসপাতাল চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ডা. নুরন্নবী বলেন, ৯১টি শয্যায় অক্সিজেন সরবরাহ করার ব্যবস্থা আছে। রোগী ভর্তি আছে ৯০ জন। এ অবস্থায় রবিবার (৪ জুলাই) থেকে নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৪৬৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার শতকরা ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ সময় করোনায় মারা গেছেন ১৪ জন। তাদের মধ্যে দিনাজপুরে পাঁচ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে চার জন, গাইবান্ধায় দুই জন এবং পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও রংপুরে এক জন করে মারা গেছেন। আর রংপুর জেলায় শনিবার পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৩২৬ জনের। এ জেলায় করোনায় মোট ১১৪ জন মারা গেছেন।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার জানান, রংপুর করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা খালি নেই। অক্সিজেন সরবরাহের শয্যাও খালি নেই বললেই চলে। উপজেলা পর্যায়ে কয়েকটি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা আছে। হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।