কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
রানীকে নিয়ে রাজা আসছেন। তাই সাজসাজ রব বিরাজ করছে কুড়িগ্রাম জুড়ে। ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকে স্বাগত জানাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, এলাকার বিভিন্ন ম্যুরাল সংস্কার, রঙ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ প্রায় শেষ। রাজার আগমনকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে গেছে গোটা কুড়িগ্রাম শহর।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সফরসঙ্গীদের নিয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতনের পর সড়কপথে দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌঁছাবেন ভুটানের রাজা। আর সেখানে সারবেন দুপুরের ভোজ।
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিনে রানি জেৎসুন পেমাকে নিয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানের জন্য নির্ধারিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন রাজা।বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ ভুটানের রাজা-রানী এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।পরে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন শেষে সড়কপথে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে নিজ দেশে যাবেন তিনি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভুটানকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে ভুটান বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির উদ্যোগ নেয়। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩৩ একর জমি বেজার কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। আরও ৮৬ একর জমির অধিগ্রহণের বন্দোবস্ত চলছে। এখানে মোট ২১১ একর জমির প্রয়োজন হবে।
বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কুড়িগ্রাম জেলায় হচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। ইতোমধ্যে ১৩৩ একর জমি বেজার কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। আরও ৮৬ একর জমির অধিগ্রহনের বন্দোবস্ত চলছে। এখানে মোট ২১১ একর জমির প্রয়োজন হবে।
প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে ভুটানের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। ফলে এই পথে পণ্য নিয়ে সহজে যাতায়াত করা যাবে। এ ছাড়া জেলার চিলমারী নৌবন্দরের কার্যক্রম এর সঙ্গে যুক্ত করে এই বিশেষ অঞ্চলকে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।