পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার মহাম্মদজমা গ্রামে মর্জিনা খাতুন (৩৬) নামের এক নারীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ৩টার দিকে হত্যার পর বাড়ির আঙিনায় ফেলে রাখা হয় মর্জিনা খাতুনের মরদেহ। সকালে স্থানীয় কুতুবপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এদিকে ঘটনার পরই নিহত মর্জিনা খাতুনের স্বামী ইব্রাহিমকে গ্রামবাসী আটক করেন। পরে স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশের সদস্যরা ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে সদর থানা হেফাজতে পাঠায়।নিহত মর্জিনা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদজুমা গ্রামের কৌদোপাড়ার ইব্রাহিমের স্ত্রী এবং একই গ্রামের মৃত সফি উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা মৃত অবস্থায় এক নারীকে পেয়েছি। দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা অভিযুক্ত স্বামী ইব্রাহিমকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছি। এখনো মামলা হয়নি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ইব্রাহিম তার প্রতিবেশী গ্রাম্য চিকিৎসক আব্দুর রশিদের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলেন। বিষয়টি মর্জিনা খাতুন জেনে যাওয়ায় ইব্রাহিমের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। এরই জের ধরে ইব্রাহিম তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে বাড়ির আঙিনায় ফেলে রাখে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর ইসলাম বলেন, পরকীয়ার সম্পর্ক জানাজানি হলে আব্দুর রশিদ গত ৩ মাস আগে তার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন। এরপরই ওই নারী বিভিন্নভাবে পরকীয়া প্রেমিক ইব্রাহিমকে চাপ প্রয়োগ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের দাবি, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরেই মর্জিনা খাতুনকে গলা টিপে হত্যা করেছে স্বামী ইব্রাহিম।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত ইব্রাহিমকে আটক করে গ্রামবাসী। এ সময় গ্রামবাসীর নিকট স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জেনেছি।সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কুতুবপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম  বলেন, রোববার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে পৌঁছে দেখি ইব্রাহিমকে গ্রামবাসী আটকে রেখেছে। মর্জিনা খাতুনের পরিবার ও গ্রামবাসী দাবি করেন, পরকীয়ার জেরে ইব্রাহিম তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, মর্জিনা খাতুনের গলায় সামান্য একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া গ্রামবাসীর কাছ থেকে ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।