নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
রংপুর বিভাগের আট জেলায় ২৬৮টি নদী বহমান রয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি। এই জেলায় ৬৬টি নদী রয়েছে। এর পরেই রয়েছে পঞ্চগড়। এই জেলায় ৪৬টি নদী বহমান।অন্যান্য জেলার মধ্যে দিনাজপুরে ৩২, ঠাকুরগাঁওয়ে ২১, গাইবান্ধায় ১৬, রংপুরে ৩৪, নীলফামারীতে ৩৩ এবং লালমনিরহাট জেলায় ২০টি নদ-নদীর নাম তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার (৩১ মার্চ) নদী গবেষক হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রিভারাইন পিপল-এর পরিচালক অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ রংপুর বিভাগের এই ২৬৮ নদীর তালিকা বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের হাতে তুলে দেন।
এ সময় প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক সেচ্ছাসেবী সংগঠন কারিগর-এর সভাপতি সরকার হায়দার, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক খাইরুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সরেজমিন অনুসন্ধানে রংপুর বিভাগে ২৬৮টি নদীর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী ও ড. তুহিন ওয়াদুদ। তারা বলছেন এ সংখ্যাও চূড়ান্ত নয়। নদ-নদীর সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে। তালিকা প্রস্তুত করতে প্রত্যেক জেলার নদ-নদী নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো তালিকা প্রস্তুত করতে সহযোগিতা করেছে বলে জানান তারা।
প্রদত্ত নদীর সংখ্যা ও অনুসন্ধান সাপেক্ষে রংপুর বিভাগের নদ-নদীর পূর্ণ তালিকা প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, নদ-নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে নদ-নদী সংরক্ষণের উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।
ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, রংপুর বিভাগে আন্তঃসীমান্ত নদীর তালিকাও ঠিক নেই। সরকারিভাবে ১৮টি আন্তঃসীমান্ত নদ-নদীর কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা ৫০-রও বেশি হবে। নদ-নদীর এই তালিকা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও বিভাগের ৮ জেলা প্রশাসককেও প্রদান করা হয়েছে।উল্লেখ্য, পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১১ সালে রংপুর বিভাগে ৮৪ নদীর তালিকা করে। আর ২০২৩ সালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন তালিকা করে ১৩১টি নদীর।