প্রার্থীরা নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেলেও দিতে হতো ১৪ লাখ টাকা!
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
প্রার্থীরা নিজ যোগ্যতায় পান সরকারি চাকরি। কিন্তু আগে থেকে চুক্তি থাকায় ১৪ লাখ টাকা তুলে দিতে হয় প্রতারক চক্রের হাতে। আর যাদের চাকরি হয় না তাদের থেকে নেওয়া চেক দেখিয়ে সাজানো হতো নতুন প্রতারণার ফাঁদ।প্রথমিক শিক্ষক নিয়োগসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চেক, স্ট্যাম্পে সাইন করিয়ে চকরি প্রার্থীদের থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানান জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খান।আটক প্রতারকের নাম আলী রেজা সুমন (৩৮)। তিনি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডোমাইন ৭নং ওয়ার্ডের নিশ্চিতপুর গ্রামের এবাদত হোসেন মোল্লার ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ডিবি জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি চৌকস দল জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সোনালী ব্যংকের সামনে থেকে আলামতসহ হাতেনাতে আটক করে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে প্রতিটি সরকারি দপ্তরে চাকরির সার্কুলার এলে সরব হয় এই চক্রটি। নেমে পড়ে প্রার্থী জোগাড়ে। সম্প্রতি শেষ হয়ে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলে এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় তারা বিভিন্ন প্রার্থীর থেকে ‘চাকরি হওয়ার পর টাকা দেবেন’ বলে সিকিউরিটি বাবদ ১৪ লাখ টাকার চেক, স্ট্যাম্প ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল মূল সনদ জমা রাখে। এভাবে যাদের মেধা ও যোগ্যতায় চাকরি হয়েছে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। আর যাদের চাকরি হয়নি তাদের চেক, স্ট্যাম্প ও সনদ দিয়ে শুরু করে নতুন প্রতারণা।
রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারক চক্রটি এরকম প্রতারণা করে যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় প্রতারক চক্রের সদস্যের কাছ থেকে জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ১৪ লাখ টাকার তিনটি চেক, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ও সিম কার্ড, বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র, নাগরিক সনদ সহ বিভিন্ন ডকুমেন্টস জব্দ করা হয়েছে। প্রতারক চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। এ সংক্রান্ত বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।