জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দিতে অজ্ঞাত একটি গাড়িচাপায় বাবার পর এবার ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টার দিকে মারা যান তিনি। এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাঝকান্দির মাজেদা জুটমিলের সামনে ওই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন তার বাবা।নিহতরা হলেন, শংকর মালো (৪২) ও ছেলে অন্তর মালো (২০)। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার ভাটি কানাইপুর গ্রামে। নিহত শংকর ওই গ্রামের মলিন মালোর ছেলে।
করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন শংকর মালো। অন্তর মালোকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর রাতে তিনিও মারা যান। একই মোটরসাইকেলে তারা মাগুরার দিকে যাচ্ছিলেন। তবে কীভাবে কিসের সঙ্গে এই দুর্ঘটনা ঘটে তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।রাতের আঁধারে শংকর মালো ও তার ছেলে অন্তরের মৃত্যুর ঘটনা কি শুধুই সড়ক দুর্ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ জড়িত তা নিয়ে বাড়ছে রহস্য।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত শংকর শহরের একটি জুয়েলারি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। দুই বছর আগে ডিবি পুলিশের একটি দল ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দিতে বিপুল পরিমাণ সোনার গহনাসহ শংকর মালো ও এক নারীকে আটক করে। রোববার রাতে তারা যেই মোটরসাইকেলটি চালিয়ে মাঝকান্দির পথে যাচ্ছিলেন সেটি ২ লাখ ৫৩ লাখ টাকা দামের একটি ইয়ামাহা এফজেড থ্রি মডেলের মোটরসাইকেল। শহরের যেই জুয়েলারি দোকানের হয়ে তিনি কাজ করতেন সেই মালিকই তাকে কাজের সুবিধার্থে বাইকটি কিনে দেন।
রাতের আঁধারে তারা কী কারণে ওই পথে যাচ্ছিলেন ও কীভাবে, কিসের সঙ্গে এ দুর্ঘটনা ঘটে সেটি জানা গেলে পুরো রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানুজ্জামান বলেন, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।