বাণিজ্য সুবিধার লক্ষ্যে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন আজ মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে উভয় অঞ্চলের কল্যাণের লক্ষ্যে সড়ক ও বিমান সংযোগের মাধ্যমে “ভাল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার” ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, “বাণিজ্য সুবিধা, দ্বৈত কর পরিহার, ভিসা সুবিধা এবং অন্যান্য বাণিজ্য অনুকূল পদক্ষেপগুলো আমাদের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা সহজ ও ত্বরান্বিত করবে।
আজ এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উজবেকিস্তানের তাশখন্দে কংগ্রেস হলে আয়োজিত “মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া: আঞ্চলিক যোগাযোগ: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ” শীর্ষক চলমান আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ড. মোমেন বক্তৃতা প্রদানকালে এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মধ্য ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দীর্ঘদিনের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নাগরিক বন্ধনগুলো শিক্ষা, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে এবং এ যোগাযোগ সড়ক ও আকাশ উভয় পথে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
ড. মোমেন বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সবগুলো দেশ পারস্পরিক কল্যাণের লক্ষ্যে সহযোগিতার নতুন সুযোগ উন্মোচনের মাধ্যমে দুটি অঞ্চলের মধ্যে একটি ভাল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন সংযোগে নিজেকে যুক্ত করার চেষ্টা করছে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সড়ক, রেল ও সমুদ্র পথের মাধ্যমে বিভিন্ন যোগাযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করছে।
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যোগাযোগ হচ্ছে উৎপাদনশীলতা। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের প্রয়াসে সমর্থন দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সাথে তার সকল মতবিরোধ সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করেছে।
তিনি বলেন, বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভুটান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং মিয়ানমারের সাথে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে ঢাকা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল এবং ভারত (বিবিআইএন) এসব দেশের মধ্যে যাত্রী, অন্যান্য কর্মী এবং পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০১৫ সালে মোটর ভেহিকল এগ্রিমেন্ট (এমভিএ) স্বাক্ষর করেছে।
ড. মোমেন চ্যালেঞ্জিং মহামারীকালীন সময়ে যখন পুরো বিশ্বে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন সেই মুহূর্তে আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সম্মেলনের আয়োজন করার জন্য উজবেক রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
অধিবেশন চলাকালে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস এবং উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতি শাভকত মিরজিওয়েভ ছাড়াও অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রীবৃন্দ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করেন। সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব একটি ভিডিও বার্তা প্রেরণ করেছেন।