আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ
গাজায় ৬০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ইসরায়েল ধ্বংস করেছে বলে জানা গেছে। ফলে গাজার সংঘাত শেষ হলেও অনেকেই আর নিজেদের বাড়িঘরে ফিরতে পারবেন না। গাজার এমন কোনো স্থান নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী আগ্রাসন চালায়নি। ফলে সেখানকার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয়।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার অনেক মানুষেরই ফিরে যাওয়ার জন্য আর কোনো নিরাপদ স্থান থাকবে না। সেখানকার ৬২ শতাংশ বাড়িঘর ইতিমধ্যেই ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া গাজার ৭৫ শতাংশের বেশি জনসংখ্যাই এখন বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। সেখানকার লোকজন এখনো জানেন না যে, সংঘাত কবে শেষ হবে।
প্রায় ছয় মাস ধরে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানকার বাড়িঘর, মসজিদ, হাসপাতালসহ কোনো স্থাপনাই ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ পড়েনি। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ৩৩ হাজার ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন।গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলায় প্রতিদিনই সেখানে শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছে।
জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ৫০ হাজারেরও বেশি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সি ৩০ শতাংশ শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি রয়েছে ২ হাজারের বেশি শিশু। গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, একটি বা দুই পা-ই হারিয়েছে গাজার ১ হাজার শিশু।