স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্টঃ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে মাঠে নামবেন সাকিব আল হাসান- এ আশায় ছিলেন সবাই। বিশেষ করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থক সবাই।কিন্তু সাকিব আল হাসান একটি দলের ক্রিকেটার, তিনি খেলবেন- এটা ধরে নিয়ে যখন সেই দলের কোচ পরিকল্পনা সাজান, তখন কেউ জানতো না আসলে সাকিব খেলবেন কি খেলবেন না! তিনি কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন বা যাবেন- সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য থাকছে না তার দলের কোচের কাছে।
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আজ প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। অথচ আগেরদিন সন্ধ্যায়ও কোচ নিশ্চিত হতে পারেননি সাকিব আল হাসান খেলবেন কি না। আজ ম্যাচের দিন সকালে এসে জানলেন সাকিব দেশেই থাকছেন না। তিনি ওমরাহ পালন করার জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন।
একটি দলের নিবন্ধিত খেলোয়াড় হওয়ার পর কোনো ক্রিকেটার যদি তার দলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগই না রাখেন, কোচ কিংবা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা না বলেন, তখন তার নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। যদিও সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রে এসব কোনো নতুন বিষয় নয়। জাতীয় দলের অনুশীলন ছেড়ে দিয়ে যিনি বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করতে চলে যেতে পারেন, তার কোনো একটি ক্লাবের প্রতি দায়বদ্ধতা কেমন থাকবে, তা নির্দ্বিধায় বলে দেয়া যায়।
আগেরদিনই সাকিব খেলবেন কি না সে নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি শেখ জামাল ধানমন্ডির কোচ সোহেল ইসলাম। মুঠোফোনে বলেছিলেন, ‘আমার সাথে আর চূড়ান্ত কথা হয়নি। তবে খেলার তো কথা!’শেখ জামাল কোচের ওই উত্তর পরিষ্কার বলে দিলো, সাকিব চট্টগ্রাম টেস্টের পর আর তার সাথে কোনো কথাই বলেননি। আসলে সাকিব এমনই; হেয়ালি, খেয়ালি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে শেখ জামালের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ৩ ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। ব্যাট হাতে এক হাফসেঞ্চুরিসহ (১৯, ৩৪ ও ৫৩) ১০৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে (৩/৩৯, ১/৪৭ ও ২/১৪) ৬ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।