কামরাঙ্গীরচরে স্ত্রী-মেয়েকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মা ফুলবাসী চন্দ্র (৩৪) ও মেয়ে সুমি চন্দ্র দাসের (১৪) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের ধারণা, স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার পর কালু চন্দ্র দাস নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন।
শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে লালবাগ জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসীমউদ্দীন বলেন, ‘ঘটনাটি রহস্যজনক। তদন্তে আমরা একটি সূত্র পেয়েছি। যা এখনই বলা যাচ্ছে না। নিহতের স্বামী কালু চন্দ্র দাসকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি অসুস্থ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
নিহতের বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাস পুলিশকে জানিয়েছে, শুক্রবার (২৪ জুলাই) রাতে তার মা ও ছোট বোন খাটের ওপর ঘুমিয়েছিলেন। তিনি ও তার বাবা ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন। কিন্তু রাত ২টার দিকে বাবা কালু চন্দ্র দাস নিচ থেকে খাটের ওপর যান। ভোর ৪টার দিকে ঘুম ভেঙে তিনি তার মা ও ছোট বোনের লাশ দেখতে পান।
এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছেন। নিহত দুজনের গলায় জখমের চিহ্ন আছে। পাশাপাশি ঘর থেকে ছারপোকা মারার ওষুধ পাওয়া গেছে। এ কারণে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যা না আত্মহত্যা তা বোঝা যাচ্ছে না। কালু চন্দ্র দাস নিজেও ওই ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আবার দু’জনকে হত্যার পর কালু ওষুধ খেয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলাও যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে কামরাঙ্গীরচর নয়াগাঁও এলাকায় বসবাস করে আসছে। কালু ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করেন। মাঝেমধ্যেই পারিবারিক নানা বিষয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।