ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত গোর-এ শহীদ ময়দান, ৬-৭ লাখ মুসল্লি সমাগমের আশা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,দিনাজপুরঃ
এবারও এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত হবে দিনাজপুরে। দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে ৬-৭ লাখ মুসল্লির সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ১০ লাখ মুসল্লি সমাগমের বিষয়টি মাথায় রেখে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।সোমবার (৮ মার্চ) ঈদগাহ ময়দানের প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৃহত্তম এ ঈদগাহের উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনাকারী জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।তিনি বলেন, এবারে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হবে। ৬-৭ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মাঠের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
হুইপ আরও বলেন, শোলাকিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী মাঠ। তবে আয়তনের দিক দিয়ে দিনাজপুর ঈদগাহ মাঠ এর চারগুণ বড়। শোলাকিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঈদের জামাতের পাশাপাশি দিনাজপুরের এ ময়দানে প্রতিবার ৬-৭ লাখ মানুষের সমাগম হয়। এবারে ঈদের জামায়াতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল ইসলাম কাসেমী।
ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলালসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গোড়-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় সাড়ে ২২ একর। ২০১৭ সালে ৫২ গম্বুজবিশিষ্ট ঈদগাহের মিনারটি তৈরিতে খরচ হয়েছে তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা।
উপমহাদেশে এতো বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। পুরো মিনার সিরামিকস দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা। রাত হলে ঈদগাহ মিনার আলোকিত হয়ে ওঠে।২০১৭ সাল থেকে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করছেন দিনাজপুর জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা মুসল্লিরা। তবে করোনার কারণে গত দুই বছরে এ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। তবে যদি বৈরী আবহাওয়া হলে বড় মাঠের পাশে মসজিদসহ আশপাশের এলাকার মসজিদগুলোতে একযোগে নামাজ আদায় করা হবে।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ জানান, গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে ঈদের জামাতকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। ঈদগাহের চার পাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সক্রিয় থাকবেন সাদা পোশাকে পুলিশ ও র্যাাব সদস্যসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।তিনি আরও জানান, মাঠের নিরাপত্তার জন্য নির্মিত হয়েছে চারটি বড় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে শহরজুড়ে, যাতে যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে ও বের হতে কোনো সমস্যা না হয়।