সিলেটে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে, কিছু এলাকায় সরবরাহ বন্ধ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,সিলেটঃ
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ ঘটনায় নগরীর বিভিন্নে এলাকার ৫০ হাজারের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন।সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৯টায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচটি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টারর পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এসময় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কয়েকজনকর্মী বলেন, ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অংশে ৩৩ কেভি লাইনের নিচে ব্যবহৃত এয়ার ফিল্টার স্তুপ আকারে রাখা ছিল। সকালে বিদ্যুতের ফুলকি এয়ার ফিল্টারে পড়লে আগুনের সূত্রপাত হয়। এয়ার ফিল্টার খুবই দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও ৯৯৯ এ কল দেন কর্মীরা। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। পরে আরও চারটি ইউনিট এসে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের এক কর্মী বলেন, এয়ার ফিল্টারগুলো এতটাই দাহ্য যে সূর্যের তাপে গলে গিয়েও আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। এতো ঝুঁকিপূর্ণ ফিল্টারগুলো হাইভোল্টেজ লাইনের নিচে স্তুপ আকারে রাখা ছিল। ভাগ্যক্রমে অনেক বড় দুর্ঘটনা থেকে সিলেটবাসী বেঁচে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেট স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার মো. বেলাল হোসেন ঘটনাস্থলে বলেন, পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না। পুরোপুরি কাজ শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পাঁচটি ফিডারে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে সিলেট নগরীর আম্বরখানা-১, আম্বরখানা-২ ও বটেশ্বর এবং গোলাপগঞ্জ ও বালাগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে এসব এলাকার অর্ধ লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছেন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে বটেশ্বর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে ৩৩ কেভির কয়েকটি লাইন আগুনে গলে যাওয়ায় এগুলো মেরামত করতে কিছুটা সময় লাগবে। আশা করি চার-পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।