লাইফস্টাইল ডেস্ক রিপোর্টঃ
বর্তমানে অনেক অধূমপায়ীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন ফুসফুসের ক্যানসারে। আর এই অবস্থার কারণ কী, তা খুঁজতেই একটি গবেষণা শুরু হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তার সাম্প্রতিক ফলাফল রীতিমতো চমকে ওঠার মতোই।দেখা গেছে, গন্ধ, বর্ণহীন একটি গ্যাসই এই ক্যানসারের পিছনে দায়ী। আর সেই গ্যাসটি তৈরি হয় তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে। তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বরাবর ক্যানসারের অন্যতম কারণ।
অথচ এই গ্যাস থাকে আমাদের বাড়ি-ঘরের খুব কাছেই, মাটির নিচে। যার কারণে ক্যানসারের সংখ্যা বাড়ছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। গ্যাসটির নাম রেডন। এই গ্যাস মাটির নিচের বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে তৈরি হয়।বেশিরভাগ বাড়ির নিচের বেসমেন্টে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় রেডন গ্যাস। তবে রেডন গ্যাসের কোনো বর্ণ বা গন্ধ নেই। ফলে আশেপাশে কতটা গ্যাস আছে, তা বোঝা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।
তবে এ নিয়ে এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ম জারি আছে। নিয়মিত বাড়ির আশপাশে ও ভেতরে রেডন গ্যাস আছে কি না তার পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। তবে বেশিরভাগ মানুষই এ গ্যাসের ব্যাপারে জানেন না।এ বিষয় নিয়ে ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি কমপ্রিহেনসিভ ক্যানসার সেন্টার, আর্থার জি জেমস ক্যানসার হসপিটাল ও রিচার্ড জে সলভ রিসার্চ ইনস্টিটিউট একটি সমীক্ষা করে।
তাতে দেখা যায়, ৭৫ শতাংশ আমেরিকান তাদের বাড়িতে রেডন গ্যাসের পরীক্ষা করান না। এর মধ্যে আবার ৫৫ শতাংশ মানুষ এই ব্যাপারে মোটেই সচেতন নন।বাড়িতে রেডন রেমিডিয়েশন সিস্টেম থাকলে এ সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়। কিন্তু সেই ব্যবস্থাই অনুপস্থিত অনেকের বাড়িতে।
ফুসফুস ক্যানসারের কী কী লক্ষণ?
>> প্রাথমিক লক্ষণ কাশি যা সহজে সারে না বা দিন দিন আরও বাড়তে থাকে।
>> কাশির সঙ্গে রক্ত আসা ও কফের রং মরচের মতো হয়।
>> বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
>> গলার আওয়াজ খসখসে হয়ে যায়।
>> খিদে কমে যায়।
>> কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমতে থাকে।
>> প্রচণ্ড ক্লান্ত ও দুর্বল লাগে।