লাইফস্টাইল ডেস্ক রিপোর্টঃ
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হলো একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার মূল ভিত্তি। খাবারের সঠিক সময় নির্ধারণ করা আমাদের পছন্দের খাবার নির্বাচন করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার অত্যন্ত পুষ্টিকর হওয়ার পরও সেগুলো রাতের বেলা না খাওয়াই ভালো। সামগ্রিক সুস্থতার জন্য রাতের খাবারের সঠিক নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু খাবার আমাদের ঘুম, হজম এবং সামগ্রিক আরামে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার আছে যেগুলো দিনে খাওয়া ভালো, কিন্তু রাতে ক্ষতিকর। এখানে এমন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা দেওয়া হলো-
দই- দই যে অনেক গুণে ভরপুর একটি পুষ্টিকর খাবার তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দিনের বেলা এটি খেলে এতে উপস্থিত ভালো ব্যাকটেরিয়া আমাদের হজমের যতœ নেয়। দই আমাদের হাড় মজবুত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। তবে রাতে দই খেলে তা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এটি ঠান্ডা প্রকৃতির কারণে পেটে শ্লেষ্মা তৈরি ও গ্যাস তৈরির সমস্যা করতে পারে।
ফল- রোগী হোক বা সুস্থ মানুষ, ফল সবার জন্যই উপকারী বলে মনে করা হয়। তবে দিনের বেলা ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর। সূর্যাস্তের পরে ফল খাওয়া ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। সব ধরনের ফলই শীতল প্রকৃতির হওয়ার কারণে কফ হতে পারে। ফলে কার্বোহাইড্রেট এবং চিনিও রয়েছে, যা রক্তে শর্করাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ঘুমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এছাড়া রাতে এগুলো খেলে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যও হয়।
মুরগির মাংস- মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা হজম হতে সময় ও শক্তি বেশি লাগে। যে কারণে রাতে মুরগির মাংস খেলে তা হজম হতে বেশি সময় লাগে এবং এতে ঘুম ব্যাহত হয়। রাতে মুরগির মাংস খেতে হলে তা সুষমভাবে অল্প পরিমাণে খান।
চর্বিযুক্ত খাবার- রাতে চর্বিযুক্ত খাবার খেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র ভেঙে হজম করতে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। এ কারণে রাতে চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
শুকনো ফল- ড্রাই ফ্রুটে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ভিটামিন, মিনারেল এবং সব পুষ্টি উপাদান থাকে। যা সকালে খেলে উপকার পাওয়া যায় কিন্তু সন্ধ্যায় বা রাতে খাওয়া হলে পাকস্থলীর এনজাইমগুলো সেগুলো ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয় না।
ব্রকলি এবং ফুলকপি- এই ক্রুসিফেরাস সবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর, তবে এতে জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারও থাকে যা হজম হতে বেশি সময় নেয়। গভীর রাতে এ ধরনের সবজি খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হতে পারে।