নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সারাদেশে বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় ৯৬ হাজার ৭৩৬ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। যা চলবে ৯ মে পর্যন্ত। এনটিআরসিএ সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯৬ হাজার ৭৩৬ শূন্যপদের পদভিত্তিক তালিকা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে ১৭ এপ্রিল প্রকাশিত হবে। একইদিন দুপুর ১২টা থেকে আবেদন করা যাবে।
আবেদনকারীর যোগ্যতা- আবশ্যিকভাবে আবেদনকারীকে নিম্নরূপ যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে; এনটিআরসিএর প্রকাশিত সম্মিলিত মেধাতালিকার অন্তর্ভুক্ত এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা-২০০৬ (সংশোধিত ২০১৫)-এর বিধি ১০(১) মোতাবেক বৈধ সনদধারী হতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সবশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে; (কাম্য শিক্ষা যোগ্যতার বিবরণ দেখার জন্য NTRCA-এর ওয়েবসাইটের ‘পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ নামক সেবা বক্সে Click করতে হবে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সবশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবল তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে।
মিথ্যা তথ্য দিলে ব্যবস্থা- আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আবেদন করলে এবং সেই অনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে ওই সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আবেদনকারীর বয়স- প্রার্থীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে।প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্যপদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। এই পছন্দ প্রদানের পর কোনো প্রার্থী যদি তার পছন্দ বহির্ভূত দেশের যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন তবে তাকে e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামক বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন তবে No Click করতে হবে।
প্রার্থীর আবেদনের সঙ্গে পছন্দের পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীর পদভিত্তিক মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুসারে ফলাফল Process করা হবে। যদি কোনো প্রার্থী তার চাহিদা অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত না হন এবং তিনি যদি Other Option-এ Yes Click করেন সে ক্ষেত্রে শূন্যপদ থাকা সাপেক্ষে প্রার্থীর মেধাক্রম বিবেচনা করে দেশের যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচনের জন্য ফলাফল Process করা হবে।
প্রতিষ্ঠান choice প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্যপদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তী সময়ে/ ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান শূন্যপদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সেসব পদে পরবর্তী সময়ে/ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না।
কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন, তবে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না।সব আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ১০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
যেভাবে আবেদন করা যাবে- অনলাইনে আবেদন ফি দেওয়া সংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এর http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে এবং এনটিআরসিএ এর www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটে স্বতন্ত্রভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে। আবেদন এবং ফি দেওয়ার নিয়মের বিষয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল নমুনা (ডেমো) টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এর http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবলমাত্র তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে চূড়ান্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। এই পছন্দ প্রদানের পর কোনো প্রার্থী যদি তার পছন্দ বহির্ভূত দেশের যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন তবে তাকে e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামক বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন তবে No Click করতে হবে।
প্রতিষ্ঠান Choice প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সর্তকতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সে সকল প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তীতে /ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান শূন্য পদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সে সকল পদে পরবর্তীতে/ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না।
কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন তবে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না।সকল আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত এক হাজার টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
তবে যারা একবার সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর দেশের কোন স্কুলে কর্মরতরা (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) সমপদে আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে স্কুল পর্যায়ে যদি কোনো নিবন্ধন সনদধারী (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) প্রাপ্ত প্রার্থীর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন তবে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কলেজ পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন।
বিপরীতক্রমে কলেজ পর্যায়ে নিবন্ধন সনদ ধারী এমপিওভুক্ত প্রার্থীর যদি স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি স্কুল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন তবে তার নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত স্কুল পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হলে পূর্বের প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
এমপিওভুক্ত প্রার্থীর একটি পর্যায়ের (স্কুল/কলেজ) একাধিক শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকলে উক্ত প্রার্থী একই পর্যায়ে আবেদন e Application ফরম পূরণের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নামের বানানসহ অন্যান্য তথ্যাদি নিবন্ধন সনদে বর্ণিত তথ্যের অনুরূপ হতে হবে। নামের বানান নিবন্ধন সনদের অনুরূপ না হলে বা ভুল বানান ব্যবহার করলে কম্পিউটার প্রসেসিংয়ে বিভ্রাট ঘটবে যার দায় সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে বহন করতে হবে।