জাহাঙ্গীর আলমঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইদানীংকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। এটা এখন সড়কের বড় উপদ্রব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কের কারণে দুর্ঘটনা হচ্ছে এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই। সড়ক বাংলাদেশে সর্বকালের সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিক বিফ্রিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।সড়কে এ বছর ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা বাড়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে সমন্বয়ের সমস্যা আছে। এখানে বিভিন্ন রকমের স্টেকহোল্ডার আছে। এদের সকলের সমন্বয়টা জরুরি। আমরা এ নিয়ে সভা করেছি, সামনে উপদেষ্টা কাউন্সিলের বৈঠক করব। যে বিষয়গুলো আমাদের এখানে ঘাটতি আছে সেগুলো পূরণ করার জন্য অলরেডি বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্প ‘রোড সেইফটি প্রজেক্ট’ চলমান। এই প্রজেক্টের কাজ শেষ হলে দুর্ঘটনা আমরা অনেক কমাতে পারব।
সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের প্রতিবেশী দেশসহ সারা পৃথিবীর অনেক দেশেই হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সৌদি আরবে, আমেরিকায় আমাদের চেয়েও বড় বড় দুর্ঘটনা হয়। সেটা নিয়ে সেখানে কোনো কথা হয় না। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে এক সঙ্গে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ রকম দুর্ঘটনা কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরাও চাই না কিন্তু আমাদের এখানে কিছু সমস্যা আছে। সমন্বয়ের অভাব আছে সেটা আমরা মনিটর করছি। আজকে রাস্তা ভালো হয়েছে, সেখানে একটা স্পিড আছে, স্পিডটা সবাই যদি মেনে চলত তাহলে হয়ত এমন ঘটনা ঘটত না।
বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত আমাদের এখনো হয়নি। তবে জনগণের কাছে আমরা বিএনপির সন্ত্রাসী রাজনীতির ব্যাপারে ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দিতে পারি। তাদের জনগণের কাছে আরও বিচ্ছিন্ন, আরও অপ্রাসঙ্গিক করার প্রয়াস আমরা চালাতে পারি। কারণ বিএনপি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দেওয়ার মতো গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপিকে কানাডার ফেডারেল আদালত পর্যন্ত সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আসলে বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য এখন প্রকাশ করে না। তাদের কর্মকাণ্ডে তারা একটা সন্ত্রাসী দল, এটাই তাদের পরিচয়।
পরিবারের একজন সংসদ সদস্য হলে সেই পরিবার থেকে আর কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে, এ সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি সব যুক্তি উত্থাপন করতে পারেন কিন্তু আপনার যুক্তি জনগণ কী চোখে দেখছে, সেটা দেখতে হবে। আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্তে তৃণমূল পর্যন্ত মানুষ কিন্তু খুশি হয়েছে। দলের তৃণমূলের কর্মীরা তাদের মতো করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তার কারণ হচ্ছে, একটা দলে আমি এমপি, আমি মন্ত্রী, আবার আমার ভাই, ছেলে এরাও পদ নিয়ে যাবে সব, তাহলে তৃণমূলের কর্মীরা কী করবে? তাদের পদে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই? সে সুযোগটা করে দেওয়ার জন্যই এ সিদ্ধান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।