চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই আগামীকাল রবিবার (১ আগস্ট) থেকে খুলছে রফতানিমুখী শিল্প কারখানা। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে।
শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার এই খবরে সড়ক ও নৌপথে বেড়েছে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়।
লকডাউনের নবম দিন শনিবার স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন ঢাকামুখী যাত্রীরা।
শনিবার সকাল থেকে এই নৌ রুটের হাজার হাজার যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়িকে ফেরি দিয়ে পদ্মা পার হতে দেখা গেছে।
বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলে করে ভেঙে ভেঙে বাড়তি ভাড়া গুনে ফিরছে রাজধানীতে। তবে পরিবহন সংকটে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঢাকামুখী এসব যাত্রীদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটে ৪টি রোরো, ৪টি মিডিয়াম মিলিয়ে ৮টি ফেরি সচল রেখে চলছে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার। তবে নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি পারাপারে সময় লাগছে বেশি।
সকাল থেকে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটেও যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল ৭ টা থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিভিন্ন উপায়ে আসা যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়।
কঠোর লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে যানবাহন সংকটে কর্মস্থলে ফেরা এসব যাত্রীর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তবে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ছোট যানবাহনের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। বৃষ্টি, কাদা উপেক্ষা করেই অনেকেই আসছেন ফেরি ঘাটে। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ রিকশায়, অটোতে আবার কেউ ব্যক্তিগত গাড়িতে।
অনেককে দেখা গেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করে ঘাটে আসছেন। তারা এসে সরাসরি ফেরিতে উঠছেন। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল আর আগত যাত্রীদের নিয়েই ছেড়ে যেতে দেখা গেছে ফেরিগুলোকে। ফেরিতে মানা হচ্ছে না কোনও স্বাস্থ্যবিধি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের ১৬টি ফেরিই প্রস্তুত আছে। উভয় ঘাটে এখন ছোট-বড় মিলে মোট ৮টি ফেরি চলছে। যখন যে ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে ছাড়া প্রয়োজন সেভাবেই ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীর চাপ বেড়ে গেলে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে কঠোর বিধিনিষিধের কারণে ঘাটে আসা যানবাহন সরাসরি ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে।